প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ভূমিহীনদের ঘর বরাদ্দ দিয়ে উৎকোচ দাবির অভিযোগ উঠেছে গোপালগঞ্জের এক সহকারী তফসিলদারের বিরুদ্ধে

গোপালগঞ্জে মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ভূমিহীনদের ঘর বরাদ্দ দিয়ে ৫,০০০/ টাকা উৎকোচ দাবির অভিযোগ উঠেছে এক সহকারী তহসিলদারের বিরুদ্ধে।

ওই এলাকার বেশকয়েকজন ভুক্তভোগী পরিবারের সাথে কথা হলে তারা গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ভেড়ার বাজার ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী তফসিলদার কাওসার আলী ফকিরের বিরুদ্ধে ভেড়ার বাজারের ঋষিপাড়ায় নির্মিত ঘর প্রতি ৫,০০০/ টাকা উৎকোচ দাবির অভিযোগ সহ তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির প্রতিকার চেয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। ঋষি সম্প্রদায়ের হতদরিদ্র, অসহায়, ভিক্ষুক জনগোষ্ঠীর নিকট কাঙ্খিত উৎকোচের টাকা না পেয়ে জোর করে ঘর থেকে অনেক পরিবারকে বিতাড়িত করেছেন বলেও তারা সাংবাদিকদের নিকট অভিযোগ করেন। ঋষিপাড়ার ওই সরকারি জায়গায় সামর্থ্য অনুযায়ী প্রত্যেকে নিজ অর্থ ব্যয়ে ঝুপড়ি ঘর বানিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে দীর্ঘ ৩ যুগ ধরে বসবাস করে আসছিলো। হরিদাসপুর ইউনিয়নের মধুমতি নদীর তীরবর্তী এলাকায় দ্বিতীয় পর্যায়ে মুজিববর্ষের ৩৬টি ঘর  নির্মাণকালীন সময়ে নদী ভাঙ্গনের আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় পরবর্তীতে ঋষিপাড়ার ওই জায়গায় ঘর নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ব্যাপারে ঋষি সম্প্রদায় সিদ্ধান্তটি প্রথমে মেনে না নেওয়ায় পরবর্তীতে হরিদাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুন্সী মোকিদুজ্জামান সহ সদর উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ তাদেরকে ঘর নির্মাণের পর সেখানে তাদেরকে বসবাস করার জন্য ঘর বরাদ্দ দিবেন মর্মে আশ্বস্ত করলে তারা সেই জায়গা ছেড়ে দিতে রাজি হয়। পরবর্তীতে ঘর নির্মাণের পর ৩/৪ মাস তারা ওই ঘরে বসবাস করার এক পর্যায়ে অর্থলোভী অসাধু সহকারী তহসিলদার কাওসার আলী ফকির সুবিধা ভোগীদের নিকট ৫,০০০/ টাকা উৎকোচ দাবি করে না পেয়ে জোর করে তাদেরকে ঘর থেকে বের করে দেয় এবং দালালের মাধ্যমে মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহনের পর সেই ঘরগুলো অন্য লোকদেরকে বরাদ্দ দেয়। এদের মধ্যে ওই এলাকায় নতুন আগন্তুকও রয়েছে। পরে ভুক্তভোগীরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রশাসনের নিকট বিষয়টি জানিয়েও কোনো প্রতিকার না পেয়ে সাংবাদিকদের দ্বারস্থ হন।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ভেড়ার বাজার ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী তফসিলদার কাওসার আলী ফকিরের মুঠোফোন ও হোয়াটসঅ্যাপ ….০৬১ নম্বরে গত দুইদিন যাবত একাধিকবার কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

উল্লেখ্য, অভিযুক্ত সহকারী তহসিলদারের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অভিযোগ পেয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন তাকে ভেড়ার বাজার ভূমি অফিস থেকে বদলি করে অন্যত্র নেয়। পরে তদ্বির করে সে ওই কর্মস্থলে ফিরে এলাকার প্রভাব বিস্তার করে নানা অনিয়মের সাথে জড়িয়ে পড়ছে বলে দাবি ভুক্তভোগীদের।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *