খুলনা বিভাগের মসলার মধ্যে অধিক জনপ্রিয় দেশী চুইঝাল। মূল্য বেশী হলেও অতুলনীয় স্বাদ ও মুখোরোচক হওয়ার কারনে চাহিদার কমতি নেই খুলনা বিভাগের মানুষের কাছে।
করোনাকালীন সময় ঘরে বসে থেকে অনলাইনের মাধ্যমে মাত্র সাত শত পঞ্চাশ(৭৫০) টাকার চুইঝাল
দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন ফকিরহাটের কাঠালতলা গ্রামের কলেজ পড়ুয়া ছাত্র মোঃ মামুন। এই তরুণ উদ্যোক্তা জানান এখন প্রতিমাসে প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা আয় হচ্ছে বাড়িতে থেকে। শুধু চুইঝাল পার্সেলের মাধ্যমে পৃথিবীর ১০ টি দেশে পাঠানোর সুযোগ হয়েছে তার । বিশেষ করে খুলনা বিভাগের মানুষ দুরে থেকেও ঘরে বসে অর্ডার করে পেয়ে যাচ্ছেন দেশী চুইঝাল।
অনলাইনে চুইঝাল বিক্রেতা মোঃ মামুনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, দেশী চুইঝাল বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। তবে বিভিন্ন গাছে যে সকল চুইঝালের চাষ করা হয় সেগুলোর চাহিদাও অনেক বেশী। একটি চুইঝাল গাছের ওজন ৫০ থেকে ১০০ কেজি হয়ে থাকে। একটি গাছ ২০ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা পযন্ত বিক্রি করা যায়। অনলাইনে বর্তমানে ব্যাপক সারা পাচ্ছেন তিনি ।
খুলনার সব থেকে ঐতিহ্যবাহী মসলা চুইঝাল। চুইঝাল শুধু কাচা মসলা হিসেবে বিক্রি শুরু করে ছিলাম এখন নতুন পদ্ধতিতে দেশী চুইঝালের আচার এবং শুকনা গুড়া মসলা ও অর্ডার করলেই হাতের কাছে দ্রত পৌছায় দিচ্ছেন। তবে চুইঝালের আচারের ব্যাপক চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে দিন দিন। তিনি বলেন সরকারী বা স্থানীয় ভাবে সহযোগীতা পেলে আরে বড় পরিসরে ব্যবসা পরিচালনা করা সম্ভব।
খুলনাঞ্চলের চুই সারা দেশে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। যার কারণে দিন দিন চাহিদা বাড়ছে।
সঙ্গে বাড়ছে দামও। যদিও রসনা বিলাসের এ মসলাটির দাম বৃদ্ধির পরও দেদারছে কিনছেন ভোজন রসিকরা। খুলনার বাগেরহাট এলাকায় জনপ্রিয় একটি মসলা হলো চুইঝাল। বর্তমানে দেশের অন্যান্য জেলাতেও মসলা হিসেবে এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। এ অঞ্চলে মাংস রান্নার এক অন্যতম অনুষঙ্গ চুই ঝাল। গরু কিংবা খাসির মাংসে যেন এক আলাদা স্বাদ এনে দেয় চুই ঝাল। নামেই বোঝা যায় এটি স্বাদে ঝাল, কিন্তু এই ঝাল একটু আলাদা। এর রয়েছে একটি আলাদা গন্ধ যা তরকারি বা রান্না মাংসে আনে আলাদা এক আমেজ। মাংসের স্বাদ বাড়ানোর জন্য চুই ঝাল ব্যবহারের প্রচলন যুগ যুগ ধরে। বেশ কয়েকটি এলাকায় চাষ হচ্ছে।
ফকিরহাট উপজেলা সিনিয়র কৃষিবিদ মোঃ নাছরুল মিল্লাত জানান- বাগেরহাট জেলার চুইঝালে অতুলনীয় স্বাদ হওয়ায় বেশ চাহিদা রয়েছে অন্য উপজেলাতে। রান্নায় মসলা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কৃষি অফিসের মাধ্যমে চাষীদের উদ্ভুদ করার জন্য চারা বিতরণ কর হয়। যদি কোন চাষী চুইঝাল চাষ করতে চায় তাহলে চাষীদের এ বিষয়ে সকল পরামর্শ এবং জৈব সার দিয়ে সহযোগীতা করা হবে বলে জানান।