দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ১০,নম্বর রাণীপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের আসন্ন নির্বাচন ঘিরে শুরু হয়েছে প্রার্থীদের দৌড়ঝাপ। রানীপুকুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোল্লা ইমামুল হক পলাশ কে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায় ইউনিয়নের অধিকাংশ জনগণ ।

ইতিমধ্যে তিনি নৌকা মার্কার মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে মোড়ে জনসংযোগ করে সকলের নিকট দোয়া কামনা করে বেড়াচ্ছেন। মোল্লা ইমামুল হক পলাশ বলেন- আমি আওয়ামী পরিবারের সন্তান, আমার রক্তে মিশে আছে আওয়ামী লীগ, আমিও দীর্ঘদিন যাবত বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে লালন করে, মাননীয় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী জননেতা খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপির দিকনির্দেশনায় অত্র ইউনিয়ন বাসীর সুখে দুঃখে পাশে থেকে সেবা সহযোগিতা করে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন আমার দাদা দাউত মোল্লা ৮নং ধর্মপুর(রানীপুকুর) ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন, এবং বাবা মরহুম মোল্লা ফজলুল হক মহান স্বাধীনতার পূর্বে বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা কমিটির একজন সদস্য ছিলেন, ১৯৯৩/৯৪ সালে তিনি বিরল উপজেলা কৃষকলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন, পরবর্তীতে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও উপদেষ্টা ছিলেন, এবং ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত অত্র ইউনিয়নের টানা দুইবারের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি আরও বলেন আমার পরিবারে আমার মামা/চাচা/ আমার আপন দুই ভাই সহ আমার পরিবারের সদস্যরা বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে ওয়ার্ড পর্যায় থেকে উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন পদে থেকে দলের হয়ে কাজ করেছেন এখনো করে আসছেন।

তিনি আরও বলেন পারিবারিক ধারাবাহিকতায় আমি স্কুল জীবন থেকেই ছাত্ররাজনীতির সাথে জ্বরিত, ২০০২ সাল হতে ২০১৩ সাল পর্যন্ত আমি বিরল উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য ছিলাম। এর পরেই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে শুরুহয় পথচলা পরে ২০১৯ সালে ১০,নং রানীপুকুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হই যা বর্তমানেও চলমান রয়েছে।

আমি ২০১৬ সালে ১০নং রানীপুকুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকা মার্কার দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলাম, আমি মনোনয়ন না পেলেও দলের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে নৌকা মার্কার বিজয় নিশ্চিত করতে আমি কাজ করেছি। আমার ১০নং রানীপুকুর ইউনিয়নকে মাদকমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত, ডিজিটাল ইউনিয়ন বিনির্মান করার লক্ষে এবারেও আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। আমাকে যদি মনোনয়ন দেওয়া হয় তবে আমি নৌকা প্রতীকের মান অক্ষুণ্ণ রেখে আওয়ামী লীগের একজন প্রতিনিধি হিসেবে ইউনিয়ন বাসীর সেবা করে যেতে চাই।

এবিষয়ে রানীপুকুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ৯.নং ওয়ার্ডের মোয়াজ্জেম হোসেন। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য প্রভাস চন্দ্র, আব্দুর রহিম। ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুরুল ইসলাম, ১০নং ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক শখিন চন্দ্র। ১০নং ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম, ১০নং ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আলিমুল হক সহ অত্র ইউনিয়নের বিভিন্ন নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগনের সাথে কথা বললে তারা জানায়, মোল্লা ইমামুল হক পলাশ অত্যন্ত সৎ ও একজন ভালো মানুষ। উনার হাত ধরেই আজ ১০নং আওয়ামী লীগ যেমন সুসংগঠিত, উনি চেয়ারম্যান হলে ১০নং ইউনিয়ন হবে একটি মডেল ইউনিয়ন মাদকমুক্ত/সন্ত্রাসমুক্ত ইউনিয়ন পরিনত হবে বলে আমরা আশা রাখি তাই মোল্লা ইমামুল হক পলাশ কে নৌকা মার্কার দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হোক এমনটাই দাবি সকলের।