নান্দাইলে ৪২টি বাজারের মধ্যে ইজারা নেই ১৮টির

ময়মনসিংহের নান্দাইল ১৩টি ইউনিয়নের ছোট-বড় হাট-বাজারের সংখ্যা ৪২টি। এরমধ্যে চলতি অর্থ বছরে ২৪টি বাজার বৈধভাবে ডাকের মাধ্যমে স্থানীয় প্রশাসনের উপস্থিতিতে ইজারা দেওয়া হয়। বাকি ১৮টি বাজার কিছু অফিসিয়াল ও মামলা সংক্রান্ত জটিলতার কারনে ইজারা দেওয়া সম্ভব হয় নাই। তবে ইজারা না হলে কি হবে ১৮টি বাজারকে ঘিরে কথিত খাস কালেকশনের নামে কিছু অসাধু চক্র টোল আদায় করে নিচ্ছে। যার থেকে সরকার কোটি টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এদিকে ইজারাকৃত ২৪টির মধ্যে ৯টি বাজারের বকেয়া পড়ে আছে প্রায় অর্ধকোটি টাকার মত। যা গত ৩ মাসেও বরাদ্ধকৃত বাজারের ইজারাদারগণ স্থানীয় প্রশাসনের দূর্বলতার কারনে ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছকৃতভাবে টাকাগুলো পরিশোধ করেননি।

আর ২টি বাজার মামলাজনিত কারনে টোল আদায় বন্দ ঘোষণা করলেও প্রতি সপ্তাহের ২ দিন টোল আদায়ের নামে অবৈধভাবে কিছু অসাধু চক্র প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে লাখ লাখ টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিচ্ছে। উপজেলার খারুয়া ইউনিয়নের বনগ্রাম চৌরাস্তা বাজারটি গত আড়াই মাস আগে ৩১ লাখ টাকা মূল্যে ডাক পান মোঃ খোকন মিয়া। এরমধ্যে ইজারার ১০ লাখ টাকা পরিশোধ করলেও প্রশাসনের দূর্বলতার কারনে বাকি ২১ লাখ টাকা দিতে তিনি গরিমশি করছেন। এ ব্যপারে জানতে চাইলে খোকন মিয়া বলেন, চলমান করোনার কারনে সম্পূর্ণভাবে তিনি লসে আছেন।

তাই বাজারে বর্তমানে কাঙ্খিত টোল আদায় হচ্ছে না। তাই ইজারা ডাকের টাকা দিতে পারছিনা। উপজেলার বাকাচান্দা বাজারের ইজারাদার মোঃ ওমর ফারুক তিনি ১৫ লাখ টাকায় বাজারের ইজারা পেয়ে ১০ লাখ টাকা পরিশোধ করলেও করোনায় তার ব্যবসায় ধস নামার কারনে বাকি টাকা পরিশোধ করতে সময় চাইছেন। জানা গেছে যে, ৯টি বাজারের ইজারা মূল্য প্রায় ১ কোটি সাড়ে ১২ লাখ টাকার মধ্যে ইজারাদারগণ পরিশোধ করেছেন ৪৯ লাখ টাকা। আর বাকি টাকা দিবো-দিচ্ছি করে সময় পাড় করছেন। একটি সূত্র থেকে জানা গেছে যে, উপজেলার চন্ডিপশা ইউনিয়নের বাঁশহাটি এবং জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের রায় পাশা কালির বাজার নিয়ে প্রশাসনের সাথে বিগত ইজারাদারের সাথে মামলাজনিত কারনে বাজার সরকারিভবে ইজারার ডাক হয়নি।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *