রাণীনগরে গভীর রাতে সোনালী মার্কেটে আগুন; চারটি দোকান পুড়ে ছাই

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার বিল কৃষ্ণপুর বাজারে সোনালী মার্কেটে আগুন লেগে চারটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এই অগ্নিকান্ডে চারটি দোকানের প্রায় ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রবিবার গভীর রাতে উপজেলার পারইল ইউনিয়নের বিল কৃষ্ণপুর বাজারে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি ঘটে। ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের ন্যায় উপজেলার বিলকৃষ্ণপুর বাজারের ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করে দোকানপাঠ বন্ধ করে চলে যান। রবিবার রাত অনুমান সাড়ে ১২ টার দিকে হঠাৎ করে বিলকৃষ্ণপুর বাজারে সোনালী মার্কেটের দোকান ঘরে আগুন লাগে। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা আগুনের শিখা দেখতে পেয়ে জাতীয় জরুরী সেবা “৯৯৯” এ ও রাণীনগর ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়।

এ সময় ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহযোগীতায় দীর্ঘ এক ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এরই মধ্যে রুহুল আমিনের মন্ডল ট্রেডাস, রাসেল আহম্মেদের ওসমান হার্ডওয়ার, বেনাজুল ইসলামের সোমাইয়া ট্রেডার্স ও রায়হান আলমের এক্সেল কম্পিউটার এ্যান্ড ডিজিটাল স্টুডিও দোকানের সম্পন্ন মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এছাড়াও আশেপাশের বেশ কয়েকটি দোকানও এই আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, দোকান ঘরে রান্নায় ব্যবহৃত এলপিজি গ্যাসের সিলিন্ডার, পেট্রল, মবিল, ডিজেল, কিটনাশক ঔষুধ, সিমেন্ট, সার সহ বিভিন্ন দাহ্য পদার্থ থাকার কারনে দ্রুত আগুনের লেলিহান শিখা বিস্তার করছিলো।

এ কারণে আগুনটি দীর্ঘস্থায়ী হয়। এদিকে খবর পেয়ে রাতেই রাণীনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। দোকান মালিক বেনাজুল ইসলাম বলেন, তার দোকানে প্রায় ৪০ টি এলপিজি গ্যাসের সিলিন্ডার ছিলো। অধিকাংশ সিলিন্ডার প্লাস্টিকের হওয়ায় গলে গেছে এবং লোহার সিলিন্ডার গুলো থেকে সব গ্যাস বেড় হয়ে গেছে। এছাড়া দোকানে পেট্রল, ডিজেল, মবিল, সিমেন্ট, কিটনাশক, সার, গ্যাসের চুলাসহ প্রায় ৬ লক্ষ টাকার মালামাল ভস্মিভূত হয়েছে।

এছাড়া ওসমান হার্ডওয়ার এর ইলেক্ট্রিক সামগ্রী, মেশিনারী পার্সসহ দোকানে থাকা প্রায় ৬ লক্ষ টাকার মালামাল, মন্ডল ট্রেডার্সের পেট্রল, কিটনাশক, গ্যাসের সিলিন্ডার, মোবাইল ফোন ও নগদ ৫০ হাজার টাকাসহ ৪ লক্ষ টাকার মালামাল এবং রায়হান আলমের দোকানের কম্পিউটার, মোবাইল, আইপিএসসহ প্রায় ৪ লক্ষ টাকার মালা মাল ভস্মিভূত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দোকাদাররা। রাণীনগর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে রাণীনগর ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে দীর্ঘ এক ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই প্রথমে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দোকানে দাহ্য পদার্থ মজুত থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লেগেছে। এ ঘটনায় চারটি দোকানে প্রায় ১৫-১৬ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *