এ সময়ে টুঙ্গিপাড়ার রাস্তায়

টুঙ্গিপাড়াঃ

বর্তামানে টুঙ্গিপাড়ার প্রতিটি কৃষক ধান ঘরে তুলার কাজে ব্যস্থ আছেন। এই ধান ঘরে তুলার কাজের মাঝে তারা ভূলেই গেছে যে, রাস্তা আর সাধারন জনগনের কি ক্ষতি হচ্ছে।

 

টুঙ্গিপাড়া ঢাকা মহাসড়কের রাস্তার উপরে পাটগাতী বাসষ্ট্যান্ড মোড় থেকে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ও সমাধি সৌধ সড়ক এমনকি টুঙ্গিপাড়া উপজেলা হেলিপ্যাডও বাদনাই মানুষের ধান তুলার কাজে।

 

রাস্তার উপরে যেভাবে ধান ও ধানের খর কুটা শুকানোর জন্য রাস্তায় রাখা হয়েছে তাতে যে কোন সময় যে কোন ধরনের দূর্ঘটা ঘটতে পারে। রাস্তার প্রায় পুর অংশটুকু জুড়েই এই কাজ চলে।

 

রাস্তার উপরে ধান মাড়াই করার সময় রাস্তা দিয়ে সাধারন জনগনের  চলা চলের অসুবিধা হয়। ধান মাড়ায়ের সময় ধান গাছের ছোট টুকরো (তুষ) জনসাধারনের শরীরে একমনি ছোখেও যেয়ে থাকে যার কারনে মটর সাইকেল আরোহিদের জন্য এমনিক জনসাধারনের চোখের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

 

সামান্য বৃষ্টিতিই এই ধানের খর কুটা ভঙ্কর রম্নপ ধারন করে তখন মোটরবাইক, ট্রাক, অটো রিক্সা, ভ্যান যেকোন ধরনের জানবাহনের জন্য খুবই ঝুকি পূর্ন হয়ে থাকে। খড় কুটো বৃষ্টিতে ভিজে রাস্তার উপর ভিষন পিচ্ছিল হয়ে থাকে।  একটু অসাবধানতা বা গাড়ি ক্রসিং এর সময় ও ব্রেক করলেই দুর্ঘটনা ঘটে যাবে তাতে কোন সন্দেহ নাই। আল্লাহ ছাড়া আর কেউ এই দূর্ঘটনা ঠেকাতে পারবে না। ভেজা খড় কুটার উপর কোন ব্রেক কাজ করে না।

 

দেখা যায় এটা শুধু মাত্র জি টি মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ব্রাক অফিসের আগ পর্য্ন্ত মহাসড়কের পাশে বসবাশ কারীরা এবং পাটগাতী বাসষ্ট্যান্ড মোড় থেকে পাটগাতী সরদারপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া বসবাশকারীরাই এই কাজ করে থাকে যাদের প্রত্যেকের বাড়ীতে ধান মাড়াই ও শুকানোর মতো পর্যাপ্ত জায়গা আছে।

মাঝে মধ্যে মনে হয় আমরা রাস্তায় নয় কোন কৃষকের বাড়ীর উঠান দিয়ে  হেটে যাচ্ছি। এটা কোন সচেত মানুষের কাজ হতে পারেনা।

বড় কোন দূর্ঘটানা ঘটলে  এর দায়ভার কে নিবে? আমরা তখন দোষ দিবো ঐ গাড়ি চালককে যে, সে ঠিকমত গাড়ি চালাইতে পারেনা। উল্টো জরিমানাও হবে গাড়ি চালকের । এটা কোন ধরনের কথা। এতে আমরা বুঝতে পারি রাস্তায় গাড়ি না গরু ছাগল ধান খড় কুটা এইগুলোর জন্যই তৈরা করা হয়েছে।

রাস্তা কি ছাগল চারানো, ধান শুকানো আর খর কুটো শুকানোর জায়গা। প্রশ্ন প্রশাসনের নিকট আর আপনাদের উপর যারা এই কাজ করেন।

আমরা সচেতন হবো কবে? এটা বলাই বাহুল্য কারন আমরা তো সাবাই খুবই সচেতন। মানুষের কথা চিন্তা না করে নিজের টা নিয়েই ভাবতে থাকি। আমাদের সবার মানষিকতার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। তবেই দেশ ও দেশের মানুষ সুন্দর হবে। সুন্দর হবে এলাকার পরিবেশ।

উপজেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আর্কশন করে বলছি, বড় ধরনের দূর্গটনা ঘটার আগেই আপনার এর ব্যবস্থা নিন।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *

preload imagepreload image