মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে গোবরা ইউনিয়নের একজন অসহায় গরীব পিতার খোলা চিঠি

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে গোবরা ইউনিয়নের একজন অসহায় গরীব পিতার খোলা চিঠি

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে গোবরা ইউনিয়নের একজন অসহায় গরীব পিতার খোলা চিঠি। যা ওই ইউনিয়নের মানবিক চেয়ারম্যান সফিকুর রহমান চৌধুরী টুটুল -এর ফেসবুক আইডি থেকে প্রিয় পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীদের সুবিধার্থে হুবহু তুলে ধরা হয়েছে…..

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী (আমাগে হাসু’বু) কেমন আছেন? আশা হরি মহান আল্লাহর অসীম মেহেরবানীতি সুস্থ আছেন। আমরাও আফনার দোয়ায় এবং আল্লাহর কিরপায় ইজ্জতে, হুরমতে সুস্থ ভাবে আছি। কিন্তু স্বাস্থ্য নিয়া ভারি ভ্যাজালে আছি বুবু। তার সাথে যোগ হইছে শিক্কা মন্তণালয়ের অতি পণ্ডিতি। আমরাতো বুজি একেবারে জেবরার হইয়া গেলাম। এই পর্যন্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ম্যালা অস্বাস্থ্যকর সিদ্ধান্ত নেছে। আর ফল ভোগ করতিছি আমরা গেরামের খাইটে খাওয়া মানুষ। একসপ্তাহের লকডাউন দেয়। তিনদিন পরপর একসপ্তাহ কইরা বাড়ায়।ঈদের সোমায় কি হরছে তা আপনি জানেন। ওকথা আর কথি চাইনে। এ্যান্নে পড়ছি আরেক ঝামেলায়। বুজি লজ্জা শরমের কতা কি কবো। আমার চাইরডে ছাওয়াল মাইয়ে। বড় মাইয়েডারে বিয়ে দিছি ১৫ বছর বয়সে। সেহানে নাতি অইছে এট্টা পাঁচ বছর বয়স। আর আমার বাহি তিন ছাওয়াল মাইয়ে পেরাইমারী স্কুলি এট্রা, হাই ইসকুলি এট্টা আর কুটিডেরে দিসি মাদ্রাসায়। ওডা ভারি বজ্জাত অইছে তাইতি মাদ্রাসায় দেলাম হুজুরগি বাড়ি খাইয়ে সাইজ হোক। আর পারিনে। কিন্তু কতা সেডা না। কতা অলো হাসু’বু আপনার শিক্কে মন্তনালয় নানান কেছেমের যেসব সিদ্ধান্ত নিতিছে তাতে আমাগে ছাওয়াল মাইয়ে ‘ক খ’ ত্তে শুরু হইরে ‘আলিপ বা তা ছা’ সব ভুইলে যাবেনে। গত ১৫ মাস ইসকুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বোন্দ। ওরা কি ঘরে বইসে থাহা মানুষ? গেরামের ছাওয়াল পাওয়াল। কোন বোন বাদাড়ে ঘুইরে বেড়াতিছে তার ঠিক নাই। এদিকদে আবার ইসকুলির ছাররা একেকদিন একেক নিয়ম নিয়ে হাজির অতিছে। আইজ কয় বাসায় পোলাপান ফাটান, কাইল কয় না মোবাইলি ফড়ায় দেবানি আবার ফরশুদিন কয় অনলাইন না ফনলাইন ওতে কেলাস হরাবে। এহন ক’নদি বুজি যদি ছাররা বাড়ি আইসে ফড়ায় তলি বসতি দেবো কোহানে? আর ছাররা যদি বাড়ি বাড়ি আসে তাতে কি করুনা ছড়াবেনা? যদি মোবাইলি ফড়াতি চায় তলি ওয়াকি আমার ছাওয়াল মাইয়ে বোজবে? সামনে ছার থাকলি তাই ফড়তি চায় না আরতো মোবাইল! আবার কোন ছার কন্নে ফোন দেবে তা কিরাম হইরে জানবো? আজুরে কাজ যতসব। আবার এহন শোনলাম অনলাইনি কেলাস নেবে। বুজি আফনি ক’ন দি এডা কিরাম কতা অলো? আমি দিন আনি দিন খাই।আমার এট্টা মোবাইল আছে কিন্তু সেডা দিয়েতো দেহা যায় না কিছু।খালি কতা কওয়া যায়। এহন নেকি এন্ডু ফোন কিনতি অবে। কেডা দেবে এই সোমায় সেই মোবাইল কেনার টাহা? টাহা কি গাছে ধরে? শালাগে মাথায় কিচ্ছু নাই বোছছেন? ঠান্ডার মদ্দি থাইহে গাঁজাখুরি সিদ্ধান্ত দেয়। ট্যারতো পায়না কত গোমে কত আটা। বোজতো যদি আমাগে ধারে আইসে কয়দিন থাকতো। আফনি ওগে খ্যাদায় দেন। ভালো ভালো মানুষ দেইহে দেইহে আনেন। ওগে দিয়ে আর কিছু অবেনা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আফনার অনেক বুদ্ধি। ছোট বেলায় মুরব্বিগে কাছে শুনছি “আঁকলমানকি ঈশারাই কাফি” তাই আফনারে কিছু কওয়া লাগেনা। তবু গেরামের মুরুক্কু মানুষ হিসেবে কয়ডা কতা কই।কিছু মনে হইরেন না। ১) স্কুল কলেজ মাদ্রাসা খুইলে দেন। সিফ্টিং হইরে ছারগে দিয়ে কেলাস হরান। পোলাপানের হাতে এন্ডুসেট দিলি ফড়বে দশমিনিট গেম খেলবে দশঘোন্টা আর হাবিজাবি ছবি দ্যাকফে দশঘোন্টা। ওগে জীবন নষ্ট ফষ্ট হয়ে যাবে।বাজে দিক মোন চইলে যাবে।আটকা জাগায় থাকতি কেডা চায় ক’ন? ২) স্বাস্থ্যবিধি মানা জাইত আমরা না। আমাগে দরকার প্যাদানি। যারা মুহি মাস্ক ফরবে না তাগে কয়ডারে ধইরে সমানে প্যাদানি দেন। সব ত্যালত্যালাইয়া মাস্ক ফরবেনে। ৩) মসজিদ মাদ্রাসা খুইলে দেন। আফনার ধর্ম মন্তনালয় যেভাবে কইছে তা মানলিও মসজিদিত্তে বাইরানোর সোমায় সবাইতো আবার একসাথে মিশেমিশে বাইর হয়। তলি মসজিদি তিন ফুট ফাঁক আর বাইরানুর সোমায় মিশেমিশে ; লাব কি অলো? ৪) স্বাস্থ্যমুন্তিরে পাল্টাতি অবে। আমার এক ভাই শেয়ার ব্যাবসা অরে। ও ওনারে ভালোভাবে চেনে। শা’নে নুজুল নাকি ওনার ভালোনা। তাই ভালো দেইহে একজন স্বাস্থ্য মুন্তি নিয়োগ দেন। ৫) শিক্কা মুন্তিরেও পাল্টান। আগেরবার পরোরাস্ট মুন্তি হিসেবে খালি ছবি তুইলে বেড়াইছে আর এবার খালি স্কুল কলেজ বোন্দ দিতিছে। আফা একখান পোরগতিশীল মুন্তিসভা সেডারেই কয় যেহানে মাঝে মদ্দি মুন্তিগে রদবদল অয়।এতে আফনার বদনাম অবেনা বরং সবাই জানবে আফনার মাছির মোতো চোখ।চাইরদিকি আফনার নজর আছে।আকাম হইরে এহানে পার পাওয়া যাবেনানে। আফারে আফনি ছাড়া এই দ্যাশের কোন গার্জেন নাই। সব কতা আফনারেই কওয়া যায়। আফনি আবার আমাগে উফর রাগ অইয়েন না। আফনি ভালো থাহেন সেই দুয়া হরি। আফনি ভালো থাকলি ভালো থাকপো আমরা ভালো থাকপে দ্যাশ। ইতি আফনার ছোটভাই



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *