চিতলমারীতে ন্যাক্কারজনক হামলায় দুই ঘের ব্যবসায়ী আহত
বাগেরহাটের চিতলমারীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় এক প্রভাবশালী ও তার লোকজন দুই ঘের ব্যবসায়ীর ওপর ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়েছে। হামলার শিকার দুই ঘের ব্যবসায়ীকে আহত অবস্থায় চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল।
ঘের ব্যবসায়ী জাকির সর্দার বলেন, আমি দীর্ঘ তিন বছর চিতলমারীতে ২০০ বিঘা জমিতে ঘের ব্যবসা করে আসছি। মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) বেলা ১১ টায় ঘেরের জন্য আমার নিজ এলাকা সাতক্ষীরা থেকে গাড়িতে করে চিংড়ি মাছের রেণু পোনা ও সাদা মাছের পোনা চিতলমারীর খড়িয়া আমতলা নামক স্থানে আসে।
ওই স্থান থেকে ট্রলার যোগে ঘেরে মাছ নেওয়ার সময় স্থানীয় খোকন মÐলের সাথে ঝগড়া হয়। এ সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে খোকন মÐল ও কমলেশ মÐলের নেতৃত্বে বাপ্পী গাইনসহ ৭-৮ জন লোক অতর্কিত আমার লোকদের ওপর হামলা চালায়।
হামলায় ঘের ব্যববসায়ী শরৎ চন্দ্র বিশ্বাস (৪৮) ও সামসুর রহমান গাজী (৪৫) গুরুতর আহত হয়। এ সময় হামলাকারীরা গাড়ী থেকে রেনু পোনার বেশ কয়েকটি প্যাকেট নিয়ে যায়। স্থানীয়রা আহত দুই জনকে উদ্ধার করে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেকে ভর্তি করে।
হামলার ঘটনা শুনে তাৎক্ষণিক ভাবে ডুমুরিয়া পুলিশ ক্যাম্পের আইসি এএসআই প্রভাষ সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ঘটনার পর থেকে খোকন মÐল ও কমলেশ মÐল পলাতক থাকায় তাদের কোন বক্তব্য পাওয়া জায়নি।
রেণু পোনা নেয়ার কথা অস্বীকার করে বাপ্পী গাইন বলেন, খোকন মÐলের লোকজন ওদের মারপিট করেছে। এটা সত্য। কিন্তু কোন মাছের পোনা নেয়নি। আমি গিয়ে মারপিট থামানোর চেষ্টা করি।
তবে চিতলমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর শরিফুল হক সাংবাদিকদের বলেন, খড়িয়ার আমতলা গেট এলাকায় দুই ঘের ব্যবসায়ীর ওপর হামলার ঘটনা মৌখিক ভাবে শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।