মাতৃভাষা দিবস ২০২১ উদযাপন উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়ায় আলোচনা সভা
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২১ উদযাপন উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল ১০ ঘটিকায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। করোনা মহামারী চলাকালীন এই সংকটময় অবস্থা কিভাবে ভাষা দিবস উদযাপন হবে এ বিষয়ে মতামত ও বক্তব্য প্রদান করেন বক্তারা। প্রতিবছরের মতই অনুষ্ঠান পালিত হলেও করোনা মহামারীর কারণে এবার অনুষ্ঠানে কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধী মেনে অনুষ্ঠান সীমিত পরিসরে পালন করা হবে বলে বক্তারা মতামত প্রদান করেন।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২১ উদযাপন উপলক্ষে প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হবে প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতার বিষয়: ক গ্রুপ ১ম ও ৩য়- চিত্রাঙ্কন, ছড়া। খ গ্রুপ ৪র্থ ও ৫ম- কবিতা, চিত্রাঙ্কন, রচনা ও সুন্দর হাতের লেখা বাংলায়। ক ও খ গ্রুপের প্রতিযোগিতা গিমাডাঙ্গা জি,টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে।
এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম হেদায়েতুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সোলায়মান বিশ্বাস, টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার নবনিযুক্ত মেয়র শেখ মোজাম্মেল হক টুটুল, কৃষি কর্মকর্তা জামাল হোসেন, সহকারী কমিশনার ও ভূমি দিদারুল ইমরান, থানা অফিসার ইনচার্জ এএফএম নাসিম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সোফিদা আক্তার জোনাকি, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ সাইফুল ইসলাম, উল্লেখ্য, প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত দুটি ভূখণ্ডের দুটি ভিন্ন ভাষার জাতিসত্তাকে মিলিয়ে পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম থেকেই মাতৃভাষাকে কেন্দ্র করে সূচনা হয়েছিল আন্দোলনের। আর এই ভাষা আন্দোলনকেই বাংলাদেশ রাষ্ট্র সৃষ্টির পথে প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে মনে করা হয়।
১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশে এই দিনটিকে শহীদ দিবস হিসেবে পালন করা হতো। এই ইতিহাস বাংলাদেশের অনেকেরই জানা। কিন্তু এই আন্দোলনের প্রেক্ষাপট তৈরির পেছনে রয়েছে আরও অনেক সংগ্রামের ইতিহাস।