মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি চান মুকসুদপুরের শেখ সেকেন্দার আলী
মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি চান শেখ সেকেন্দার আলী। মাতৃভূমি রক্ষায় জীবন বাজি রেখে মুক্তিযোদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু ৬৬ বছর পরেও ঠাঁই হয়নি মুক্তিযোদ্ধার তালিকায়। শেখ সেকেন্দার আলী গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার দিগনগর ইউনিয়নের চন্দ্রখোলা গ্রামের মৃত মঙ্গল শেখের ছেলে।
তিনি ১৯৭১ সালে কমান্ডার সেলিম খান এর নেতৃত্বে মুকসুদপুর, দিগনগর, ভাঙ্গা, কাশিয়ানীসহ কয়েকটি স্থানে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছেন বলে জানাযায়। তিনি তৎকালীন স্বাধীনতাবিরোধীদের ভয়ে পরিবার নিয়ে ভারতে চলে যান।
পরবর্তীতে গত ২০১৭ সালে নিজ ভিটায় ফিরে আসেন। কিন্তু তিনি দীর্ঘদিন দেশের বাইরে থাকায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তাকে নাগরিকত্ব দিচ্ছেন না। যার কারণে তিনি মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হতে পারছেন না।
শেখ সেকেন্দার আলী বলেন, আমি একাত্তর সালে ভারতে গিয়ে যুদ্ধের ট্রেনিং নিয়ে দেশে এসে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করি। মুক্তিবার্তায় আমার নাম আছে। ঢাকা মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়ে আমার নাম আছে। তিনি আরো বলেন, আমার এক ভগ্নিপতি গণ ভবনে চাকরি করতেন। আমি তার মাধ্যমে কয়েকবার গণভবনে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর সাথে দেখা করেছি।
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে যখন মেরে ফেলে আমি তখন ঢাকার মিরপুর ১ নাম্বারে থাকতাম। ভয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে আসলাম। তখন আমি আওয়ামী লীগের দিগনগর ইউনিয়নের ৪০ সদস্যের একজন সদস্য ছিলাম। তখন আওয়ামী লীগের কোন আলোচনা করলে আমাদের ওপর স্বাধীনতাবিরোধী লোক চাপ সৃষ্টি করতো।
এ অবস্থায় এ দেশে থাকা নিরাপদ না, ভেবে পরিবার নিয়ে ভারতে চলে যাই। গত ২০১৭ সালে দেশে ফিরে এসেছি। অথচ চেয়ারম্যান নাগরিক ও জন্মনিবন্ধন সনদ দিচ্ছেন না। আমার জমি-জমার কাগজ পত্র ও রয়েছে। যার জন্য আমি মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারছি না। তাই আমি আমার নাগরিকত্ব ও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি চাই। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।