প্রিন্ট এর তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ২৩, ২০২৫, ৩:৪০ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ নভেম্বর ২৬, ২০২২, ৫:৪৮ অপরাহ্ণ
১৫ বছর পেরিয়ে গেলেও উপকূলের মানুষের দুর্ভোগ কাটেনি

২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর আঘাত হানে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় সিডর। দীর্ঘ ১৫ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো আতঙ্কের দিন কাটছে উপকূলীয় অঞ্চলের জনগণের। দীর্ঘদিনে হয়ে গেলেও এখনো বিভিন্ন এলাকায় নির্মাণ করা যায়নি স্থায়ী বাঁধ।
জানা যায়, সিডরের তাণ্ডবে মুহূর্তেই লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছিল উপকূলী বিভিন্ন জেলার মতো পটুয়াখালী জলের বিস্তীর্ণ জনপদ। দীর্ঘ ১৫ বছরের স্বজন হারানোর বেদনা, সহায়-সম্বল এর কষ্ট ভুলে মানুষ ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে আজও। এখনো অনেকেই বসবাস করছে সেই নদীর পাড়ে বেড়িবাঁধের ওপর।
২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সকালে ‘সিডর’ নামের ওই ঘূর্ণিঝড়টি ধীরে ধীরে এগিয়ে আসতে থাকে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে এবং জারি করা হয়েছিলো ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত। হঠাৎ সন্ধ্যার পরই প্রবল বাতাসের সঙ্গে শুরু হয়েছিলো জলোচ্ছ্বাস। আনুমানিক রাত ১০টার পর ‘সিডর’ চূড়ান্ত আঘাত হানে উপকূলে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী সিডরের সময় পটুয়াখালী জেলায় প্রায় মানুষ মারা যায় ৪৬৬ এবং আহত হন ৮ হাজার ৫০০ জন।
অন্যদিকে, পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার চরখালী, রানীপুর, গোলাখালী সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সিডরের সেই তাণ্ডবের ১৫ বছর পেরিয়ে গেলেও উপকূলের মানুষের দুর্ভোগ কাটেনি আজও। এখনো অনেক জায়গায় শক্তিশালী ও টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ হয়নি।
পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ‘উপকূলের বেড়িবাঁধ সংস্কার ও পুনর্নির্মাণের জন্য বেশ কিছু প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।’
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত