সংবিধানের মাধ্যমে হিন্দু সংখ্যালঘুদের অধিকার নিশ্চিতের দাবী শিপন বসুর

বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক যে দাবি গুলু তুলে দরছেন তাহাতে  ভূমি পুত্র হিন্দুদের সমস্যা সমাধান নয় ! কারণ  বর্তমান সরকার কোন অবস্থা এই দাবিগুলি পূরনে আগ্রহ নেই । তাই ওয়ার্ল্ড হিন্দু স্ট্রাগল কমিটির প্রেসিডেন্ট শ্রী শিপন কুমার বসু মনেকরেন যে,  ভূমি পুত্র হিন্দুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক সমর্থন অর্জন করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

শ্রী বসুর মতে  হিন্দুরা সংখ্যালঘু নয়, তাদের উগ্রবাদী মুসলিমদের দ্বারা নির্যাতিত হয়ে দেশ পরিতেক্ত করছে এবং সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে, কিন্তু এখনো ভূমি জরিপে তাদের নাম প্রকাশিত হচ্ছে । তাই ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক ভূমি অধিকার আইনে নির্যাতিত হিন্দুদের নাগরিকত্ব মৌলিক অধিকার পূর্ণ প্রতিষ্ঠিত করা হবে।  জনগণের মৌলিক অধিকার সংবিধানের তৃতীয় ভাগ “মৌলিক অধিকার” অনুসারে  জনগণের অধিকার অনুসারে  নাগরিক হিসেবে প্রত্যেক বাংলাদেশী স্বতঃসিদ্ধভাবে কতিপয় মৌলিক অধিকারের মালিক।

তৃতীয় ভাগ “মৌলিক অধিকার”-এর শুরুতেই ২৬ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, মৌলিক অধিকারের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ কোনো আইন করা যাবে না। আর যদি করা হয়, তবে তা স্বতঃসিদ্ধভাবে বাতিল হয়ে যাবে। এই অনুচ্ছেদ অনুসারে, মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী পূর্বেকার সকল আইন সাংবিধানিকভাবে অবৈধ। মৌলিক অধিকার শারীরিক ও মানসিক সীমানা সংকোচনকারী কৃত্রিম বাধা অতিক্রম করে মুক্তি ও ন্যায়বিচারের পরিবেশ নিশ্চিত করে নাগরিকদের জীবন মর্যাদাপূর্ণ করে।

স্বাধীন বিচারব্যবস্থা ও শক্তিশালী গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহ নাগরিক অধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সর্বোত্তম রক্ষাকবচ। সংবিধানের চতুর্থ পরিচ্ছেদের ১০২ অনুচ্ছেদ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগকে মৌলিক অধিকার বলবৎ করার এখতিয়ার দিয়েছে। সংবিধান অনুসারে প্রত্যেকের মৌলিক অধিকার ১৮টি।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *