পবিত্র ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের অভাবে কথিত হিজরতের নামে ঘর ছেড়ে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হওয়ার অভিযোগ পেয়ে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সেই ৯ তরুণ-তরুণীকে উদ্ধার করে তাদের পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

সোমবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে র‍্যাব সদর দপ্তরে বাহিনীর প্রধান এম খুরশীদ হোসেন আনুষ্ঠানিকভাবে পরিবারের নিকট তাদেরকে বুঝিয়ে দেন। এসময় র‍্যাবের পক্ষ থেকে
৯ জনের প্রত্যেককে দশ হাজার টাকা, ধর্মীয় বই ও ফুলেল শুভেচ্ছা জানান র‍্যাবের ডিজি এম. খুরশীদ হোসেন। উদ্ধারকৃতরা হলেন, আবু বকর সিদ্দিক, ফয়সাল হোসেন, মো. ফারুক হোসেন, মো. আলিফ খান, মুফলিয়া আক্তার, তাজকিয়া তাবাসসুম, জান্নাতুল ফেরদৌস, রুনা আক্তার ও কানিজ ফাতিমা ইফতি।

র‍্যাবের গোয়েন্দা প্রধান লে. কর্নেল মো. মশিউর রহমান জুয়েলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন র‍্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক(অপারেশন) কর্নেল কামরুল হাসান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ইমতিয়াজ আহমেদ। এতে বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুফতি মানসুর আহমাদ। এছাড়াও র‍্যাবের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ, তরুণ-তরুণীদের অভিভাবক সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে র‌্যাব প্রধান বলেন, অভিযান চালিয়ে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের প্রায় ২৯০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জঙ্গিবিরোধী অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি ডি-রেডিক্যালাইজেশনের মতো নতুন পন্থা অনুসরণ করে পথভ্রষ্টদের সমাজের মূল ধারায় ফিরিয়ে এনে তাদের বিভিন্ন পুনর্বাসনের মাধ্যমে সরকারের সন্ত্রাসবিরোধী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা হচ্ছে।

জঙ্গিবাদ একটি আদর্শিক সমস্যা। জঙ্গিবাদ প্রতিহত করতে ধর্মের সঠিক ব্যাখ্যা তুলে ধরা একান্ত প্রয়োজন। র‌্যাব শুরু থেকেই ধর্মের এ অপব্যাখ্যাকে মোকাবেলার জন্য পবিত্র কুরআনের সংশ্লিষ্ট আয়াত ও হাদিসের সঠিক ব্যাখ্যা ’সম্বলিত একটি বই প্রকাশ করেছে। যা জঙ্গিবাদ বিরোধী প্রচারণায় ব্যাপক অবদান রাখছে।