গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে দীর্ঘস্থায়ী বন্যা ও বৃষ্টিপাত বেশি হওয়ার গো-খাদ্যের তীব্র সংকটে পড়েছে খামারি ও প্রান্তিক গরুর মালিকরা। গরুর প্রধান খাদ্য খড় এখন ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। দিন দিন দাম বেড়ে যাওয়ার হতাশ খামারি ও প্রন্তিক গরুর মালিকরা। ফলে বাধ্য হয়েই কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে গরু গুলো। গোবিন্দগঞ্জের বিভিন্ন খড়ের হাটগুলোতে ঘুরে দেখা যায়, প্রতি আটি খড় বিক্রি করা হচ্ছে ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা পযর্ন্ত। এছাড়াও এক বোঝা খড় বিক্রি করা হচ্ছে ২৫শ থেকে ৩ হাজার টাকায়। এসব হাট-বাজারগুলোতে খড়ের চাহিদা বেশি থাকায় মোকাম থেকেই বেশি দামে কিনতে হয় বলে জানিয়েছেন বিক্রতারা। হাটে খড় কিনতে আসা ক্রেতারা বলেন, গরু পালন করা আর সম্ভব হবে না। গরুর খাদ্যের দাম যেভাবে বাড়ছে তাতে গরু বিক্রি করে দিতে হবে। গরু পালন করেই আমাদের সংসার চলে। গরুর খাদ্য না দিতে পারলে আমরা গরু লালন-পালন করবো কি করে। উপজেলার হাটে খড় কিনতে আসা সোহরাব আলী বলেন, গো-খাদ্যের চেয়ে দুধের দাম কম। আগে খড় কিনতাম ২-৩ টাকা আটি, সেটা একন কিনতে হচ্ছে ৮-১০ টাকায়। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে গরু পালন বন্ধ করে বিক্রি করে দিতে হবে। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার গোলাববাগ হাটে, এক খড় বিক্রিতা জানান, মোকাম থেকে বেশি দাম দিয়ে আমাদের খড় গুলো কিনতে হয়অ তাই বাধ্য হয়ে বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। এখন আটি প্রতি তিনগুন দাম বেড়ে গেছে। বন্যার আগে প্রতি আটি ২-৩ টাকায় বিক্রি হতো। এখন প্রতি আটি ৮-১০ টাকা বিক্রি করতে হচ্ছে। উপজেলার বাগদা বাজারের এক খড় বিক্রিতা বলেন, এবার বন্য হওয়াই আমাদের উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন পানিতে তলিয়ে গেছে। তাই খড়ের সংকট দেখা দিয়েছে। দাম আরো বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে।