Header Border

ঢাকা, শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ (শরৎকাল) ২৮.০৫°সে
শিরোনাম:
যৌতুক না পেয়ে, স্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা, বিচার পেতে থানায় মামলা। গোপালগঞ্জে নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমানের যোগদান ও দায়িত্বভার গ্রহণ গোপালগঞ্জ সদর থানায় অফিসার ইনচার্জ হিসেবে মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমানের যোগদান গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার আল-বেলী আফিফা’র বদলিজনিত বিদায় সংবর্ধনা খতিব মুফতি রুহুল আমিন আত্মগোপনে নই , অসুস্থতায় অনুপস্থিত বরিশাল নগরীর নাজিরের পুলে মাদক কেনাবেচা বন্ধে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন।। শিক্ষকদের তালাবদ্ধ করে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ কর্মসূচি ফকিরহাটে ইজিবাইকের সাথে পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে নারীসহ নিহত-৩ পিরোজপুরে সাংবাদিকদের সাথে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর মতবিনিময় সভা গোপালগঞ্জে বিএনপি নেতার স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ এক আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে

স্থানীয় সরকার পৌর নির্বাচন দলীয় প্রতীক বন্ধের মত আ.লীগে

স্থানীয় সরকার

পৌর নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে তৃণমূলে সাংগঠনিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে বলে মনে করছেন দলটির কেন্দ্রীয় ও মাঠপর্যায়ের অনেক নেতা।

তৃণমূলের রাজনীতির এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগের নিয়মে অর্থাৎ নির্দলীয় করা উচিত বলে মনে করছেন তারা। এমনকি দলটির নীতিনির্ধারণী পর্যায়েরও কেউ কেউ চাইছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের ব্যবহার থেকে সরে আসুক আওয়ামী লীগ। তবে ব্যক্তিগত রাজনৈতিক ক্ষতি হতে পারে এমন শঙ্কায় কোনো পর্যায়ের নেতাই এ বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে নারাজ। স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলো উন্মুক্ত করা হলে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক সফলতা আরও বাড়বে বলে দলটির কেন্দ্রীয় ও তৃণমূলের অন্তত এক ডজন নেতা সাংবাদিকদের কাছে মতপ্রকাশ করেছেন। এদিকে শুরু থেকেই দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন পদ্ধতির বিরোধিতা করে আসছে বিরোধী দল বিএনপি। দলীয় প্রতীকে নির্বাচন তৃণমূলে দলকে সাংগঠনিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে বলে মনে করছেন বিএনপি নেতারাও। একইভাবে স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞরাও মনে করছেন, দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি ডেকে আনছে।

স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে পাওয়া তথ্যমতে, ২০১৫ সালে স্থানীয় সরকার নির্বাচন উন্মুক্তভাবে হওয়ার বিধান বাতিল করে বর্তমান সরকার দলীয় প্রতীকে তা সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয়। ২০১৬ সালে পৌরসভা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন শুরু করে ক্ষমতাসীনরা। এরপর পর্যায়ক্রমে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পর্যন্ত দলীয় প্রতীক দিয়ে হয়। স্থানীয় সরকার নির্বাচন আইন পরিবর্তন করে নতুন নিয়মে শুরু হয় নির্বাচন। কিন্তু এ নিয়ে প্রথম থেকেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে।

দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এতে রাজনৈতিকভাবে ক্ষতির মুখোমুখি হলেও প্রকাশ্যে কোনো বক্তব্য রাখতে চান না কেন্দ্রীয় ও তৃণমূল নেতারা। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক নেতা সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগের নিয়মে ফিরিয়ে নেওয়া উচিত। তাহলে সাংগঠনিক রাজনীতি শক্তিশালী হয়ে উঠবে। একই সঙ্গে বিভিন্ন জেলায় অরাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী যারা রাজনীতিতে ঢুকে পড়ছেন, জনপ্রতিনিধি হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন, সেই সুযোগ আর থাকবে না।

টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের বলেন, ‘প্রতীক দিয়ে নির্বাচন যখন থেকে শুরু হয়, তখন থেকে তৃণমূলের রাজনীতি অনেক ক্ষেত্রে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তবে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা যখন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আমরা তার বাইরে যাওয়ার ধৃষ্টতা দেখাতে পারি না। এ নিয়ে সিদ্ধান্ত জাতীয় নেতারাই নেবেন।’

প্রায় একই ধরনের মতপ্রকাশ করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের এক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দলীয় প্রতীকে নির্বাচন সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অকর্মন্য করে তুলেছে, তেমনি দলীয় রাজনীতি অসংগঠিত করে তুলেছে প্রতীক দিয়ে নির্বাচনী পদ্ধতি। প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে মনোনয়নপ্রত্যাশী প্রার্থীরা এখন আর এলাকায় রাজনীতি করেন না, টাকা নিয়ে প্রভাবশালী নেতাদের কাছে ঘুরেফিরে মনোনয়ন নেওয়ার চেষ্টা করেন। কর্মী মূল্যায়ন তারা বোঝেন না।’

দলটির এ কেন্দ্রীয় নেতা আরও বলেন, ‘যেহেতু প্রতীকে নির্বাচন হয় আর মনোনয়ন নিশ্চিত করা যায় লবিংয়ে ও টাকায়, তাই দলীয় রাজনীতি করার প্রয়োজন পড়ে না। রাজনৈতিক কর্মীরা হতাশায় রাজনীতিবিমুখ হয়ে পড়ছে। তৃণমূলে দলবদল করে আওয়ামী লীগে আসা অনেকেই এখন জনপ্রতিনিধি। প্রতীকে নির্বাচন হওয়ায় আর লবিং ও টাকায় মনোনয়ন নেওয়ার সুযোগ রয়েছে বলেই দলবদলকারী নেতারা আওয়ামী লীগের জনপ্রতিনিধি সেজে বসে আছেন। দলের দুর্নাম হয় এমন কাজগুলোও তাদের দ্বারাই হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এসব রেওয়াজ চলতে থাকায় এবং রাজনীতি না করেও মনোনয়ন পেয়ে যাওয়ায় রাজনীতির প্রতি খেয়াল নেই তৃণমূলের অনেকের। আর টাকার দেনদরবার হওয়ায় হঠাৎ রাজনীতিতে এসে ব্যবসায়ীরা জনপ্রতিনিধি হওয়ার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছেন।’

নির্দলীয় স্থানীয় সরকার নির্বাচন তৃণমূলে আওয়ামী লীগের ঝিমিয়ে পড়া রাজনীতিকে চাঙ্গা করবে বলে মতপ্রকাশ করে দলটির সম্পাদকম-লীর আরেক সদস্য বলেন, ‘মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতাদের বদ্ধমূল ধারণা যে দলের মনোনয়ন পেলেই জয়ও আসবে অনায়াসে। সুতরাং মনোনয়ন পেতে যে দৌড়ঝাঁপ করে একজন প্রার্থী, রাজনীতির জন্য সেটা করে না। তৃণমূলে স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলো নির্দলীয়ভাবে আয়োজন করা হলে এলাকায় যেমন রাজনীতি করতে হবে একজন প্রার্থীকে, তেমনি জনসেবায়ও নিয়োজিত থাকতে হবে। তবেই বিজয়ী হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে। নির্দলীয় নির্বাচন হলে প্রত্যেক প্রার্থী এ দুটি কাজ করবে বাধ্যতামূলকভাবে। ফলে রাজনীতিও চাঙ্গা হবে, নেতাদেরও জনসম্পৃক্ততা বাড়বে।’

দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার পৌর নির্বাচনে নিয়ে আওয়ামী লীগের তৃণমূল ও কেন্দ্রীয় নেতাদের এসব মতামতের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে বক্তব্য জানতে চাইলে দলটির সভাপতিম-লীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ বলেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে বিভিন্ন আলোচনা আছে। কারও মতে স্থানীয় নির্বাচন নির্দলীয় হওয়াই ভালো, কারও মতে দলীয় প্রতীকে খারাপ কি? তবে রাজনৈতিক কোনো সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত নয়, সময় ও প্রয়োজন অনুযায়ী যেকোনো সময়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হতে পারে।’

ক্ষমতাসীন দলের সভাপতিম-লীর আরেক সদস্য বলেন, ‘স্থানীয় সরকার  নির্বাচনগুলো আগে নির্দলীয় হওয়ায় এলাকার গণ্যমান্যদের ওই এলাকার নেতারা জনপ্রতিনিধি হিসেবে দেখতে চাইতেন। ওই পদ্ধতিতে রাজনৈতিক আবহ থাকলেও মনোনয়ন পেতে স্থানীয়ভাবে নিজের সুনাম ধরে রাখার চেষ্টা থাকত মনোনয়নপ্রত্যাশীদের। ফলে এলাকায় জনপ্রিয়রাই আসলে জনপ্রতিনিধি হওয়ার সাহস দেখাতেন। যে কেউ মনোনয়নের প্রত্যাশা করতেন না। এখন দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ায় এলাকার জনপ্রিয় মানুষ বা নেতার চেয়ে টাকাওয়ালা অথবা স্থানীয় এমপির প্রভাবে প্রভাবশালীরা জনপ্রতিনিধি হওয়ার সুযোগ পেয়ে যান।’

দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের কারণে তৃণমূল রাজনীতি শূন্য হয়ে পড়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর এই সদস্য বলেন, ‘রাজনৈতিক কোনো অবদান না থাকার পরও অনেকেই মনোনয়ন পেয়ে যাওয়ার কারণে রাজনীতি করা নেতারা হতাশায় ঘরে উঠে গেছেন। প্রতীকে নির্বাচন হওয়ার আইন চালু হওয়ার পর থেকে তৃণমূলের রাজনীতিতে দুর্নীতিও বেড়েছে। দলীয় নেতারা দলীয় রাজনীতির চেয়ে টাকা আয়ের পেছনেই বেশি ছোটেন। কারণ তারা ভালো করেই জানেন টাকা থাকলে নেতাও হওয়া য়ায় এবং জনপ্রতিনিধিও। তৃণমূলে রাজনীতিতে সংগঠনের জন্য সময় না দিয়ে টাকার পেছনে ছোটার এটাও অন্যতম কারণ।’

দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক ক্ষতি ডেকে এনেছে এবং এর বিকল্প কিছু ভাবতে হবে বলে মতপ্রকাশ করে দলটির এক জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ায় বিভিন্ন স্তরে জনপ্রতিনিধি হিসেবে প্রায় ২৮ ভাগ অনুপ্রবেশকারী এখন আওয়ামী লীগে। এদের ভালো কাজগুলো যেমন আওয়ামী লীগের কাঁধে আসে, তেমনি খারাপ কর্মের দায়ও আওয়ামী লীগের ওপর বর্তায়। দলীয় প্রতীকে জনপ্রতিনিধি নির্বাচন হওয়ায় এ ক্ষতিগুলো হয়েছে। এসব ব্যাপারগুলো ঠিক করতে হলে বিকল্প ভাবতে হবে দলকে।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সুযোগসহ বিভিন্নভাবে সারা দেশে অন্য দল থেকে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারীদের একটি তালিকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে রয়েছে। সেখানে তাদের নাম, কোন দল থেকে অনুপ্রবেশ ঘটেছে এবং দলের কারা অনুপ্রবেশকারীদের সহযোগিতা করেছেন তার বিস্তারিত তথ্য রয়েছে। এ সংক্রান্ত তালিকাগুলো বাঁধাই করে শেখ হাসিনা তার কাছে রেখেছেন। বিভাগভিত্তিক করা ওই তালিকায় অনুপ্রবেশকারীদের বিস্তারিত আমলনামা রয়েছে। দলের কার্যনির্বাহী সংসদের এক সভায় সহকর্মীদের এমন তথ্য জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, লক্ষাধিক অনুপ্রবেশকারী আওয়ামী লীগে পদ পেয়েছে, কেউ কেউ জনপ্রতিনিধিও হয়েছে। সেসব অনুপ্রবেশকারীর অপকর্মের দায়ভার আওয়ামী লীগকে নিতে হচ্ছে। দলের কোনো স্তরে অনুপ্রবেশকারীদের জায়গা দেওয়া যাবে না বলে দলীয় নেতাদের নির্দেশ দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার পৌর নির্বাচন বন্ধের পক্ষে বেশিরভাগ নেতা মত দিলেও দলটিতে এ ব্যাপারে ভিন্ন মতও রয়েছে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হওয়ার পক্ষে মত দিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘নির্দলীয় জনপ্রতিনিধিদের কোনো লক্ষ্য-উদ্দেশ্য থাকে না, তারা আদর্শহীন। ফলে এসব জনপ্রতিনিধি জনগণের ও এলাকার উন্নয়নের পক্ষে কোনো ভূমিকা রাখতে পারেন না। দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত আপাতদৃষ্টিতে ক্ষতিকর বলে মনে হলেও ভবিষ্যতে এটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘নির্দলীয় হলে অসংখ্য লোক এসব নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। ফলে এসব নির্বাচনে এক ধরনের জটিলতা তৈরি হয়।’

এদিকে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন তৃণমূলে দলকে সাংগঠনিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে বলে মনে করছেন বিএনপি নেতারাও। একইভাবে স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞরাও মনে করছেন দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি ডেকে আনছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘২০১৫ সালে যখন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সরকারের সিদ্ধান্ত মেনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেয়, তখন থেকেই বিএনপি এর বিরোধিতা করে আসছে। কিন্তু সরকার ও ইসি আমাদের বক্তব্যকে গুরুত্ব দেয়নি। প্রথমে এর বিরোধিতা করলেও তৃণমূল যাতে হাতছাড়া না হয় সেজন্য দলীয় প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে আসছে বিএনপি। তবে এখন সরকার যদি মনে করে এটা পরিবর্তন করা দরকার তাহলে ভালো হবে। আমরা মনে করব সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে।’

অন্যদিকে স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমদ বলেছেন, ‘দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হলেও ক্ষতি হতো না যদি কাঠামো ও আইনগত পরিবর্তন আনা হতো। দেখা যায় চেয়ারম্যান মনোনয়ন দেওয়া হয় দলীয় প্রতীকে, বাকি সদস্যরা নির্দলীয় থাকে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনও সংসদীয় পদ্ধতিতে হতে পারত। শুধু মেম্বারদের মনোনয়ন দেবে দল। যে দল সংখ্যাগরিষ্ঠ হবে সে দলের চেয়ারম্যান হবে। যতদিন স্ট্রাকচারে পরিবর্তন আসবে না ততদিন এর সুফল আসবে না। রাজনৈতিক দলের ক্ষতিই হবে এতে।’

আপনার মতামত লিখুন :

আরও পড়ুন

ঈদে ৬ দিন মহাসড়কে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ
দেশের যেসব এলাকায় রোজা শুরু হয়েছে আজ
র‌্যাব সদস্যদের কুপিয়ে আসামি ছিনতাই
একমাস বন্ধ থাকবে দেশের সব কোচিং সেন্টার
বেকার ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়তে কাজ করছে গণঅধিকার পার্টি: চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার
ফকিরহাটে বিতর্ক প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়েছে 

আরও খবর

İstifadəçi rəyləri Pin Up casino seyrək göstərilən xidmətlərin keyfiyyətini təsdiqləyir. azərbaycan pinup Qeydiyyat zamanı valyutanı seçə bilərsiniz, bundan sonra onu dəyişdirmək mümkün xeyr. pin-up Bunun üçün rəsmi internet saytına iç olub qeydiyyatdan keçməlisiniz. pin up Además, es de muy alto impacto y de una sadeed inigualable. ola bilərsiniz