স্ত্রী কে শারিরিক নির্যাতনের কারনে স্মৃতি ও বাকশক্তি হারিয়ে হাসপাতালে মৃত্যু শয্যায়।
ঘটনাটি ঘটেছে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী দক্ষিণ পাড়া রেল সংলগ্ন, এখানে স্ত্রীর বাবার বাড়ী।বাবার নাম মোঃ বাবলু শেখ বয়স ৫০। স্বামী শামিনুর শরীফ বয়স আনুমানিক ৩০ বছর।পিতা মৃত ফজর শরীফ,গ্রাম,বরাশুর,ডাকঘর ভাটিয়াপাড়া,উপজেলা কাশিয়ানী, জেলা গোপালগঞ্জ। হালিমা খাতুন টুকি কে গত ২১ – ১০-২০২০ রোজ বুধবার, সন্ধায়, কাশিয়ানী রেললাইনের পাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন মেয়ের মামা মিজানুর রহমান। হালিমা খাতুন টুকির দুই বছর আগে শামিনুরের সাথে বিয়ে হয় এবং ওদের একটা কন্যা সন্তা হয়েছে যার বয়স ৯ মাস। স্ত্রীপক্ষের অভিযোগ ওকে প্রায়ই মারধোর করা হতো। ঐ দিন টুুুকির মামা মিজানুর রহমান (অবসর প্রাপ্ত সেনা সৈনিক) গরু আনার উদ্দেশে বাড়ী থেকে বের হয়েই দেখেন একটা মেয়ে রেললাইনের পাশে মুখ মন্ডল আটকানো অবস্থায় পড়ে আছে। এমতাবস্থায় তাকে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট কাশিয়ানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কর্তব্য রত চিকিৎসক তাৎক্ষণিক ভাবে রোগীর চিকিৎসা শুরু করেন,এবং মিজানুর রহমানের সাথে কথা বলে জানা গেছে টুকি কে প্রচুর পরিমানে শারিরীক নির্যাতন করা হয়েছে,।তাতে করে সে এখন কাউকে চিনতে পারছে না।এবং বাকশক্তি ও হারিয়ে ফেলেছে। রোগীর পরিবার তাদের অনুসন্ধানে পেয়েছেন টুকি কে তার স্বামী,দেবর,শাশুড়ী, নোনদ,মিলে বেদম মারপিট সহ বালিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করছিল।এবং শামিনুর গং মনে করেছিল টুকি মারা গেছে, ভেবে ওদের বাড়ির পাশে ফেলে রেখে এসেছিল। উল্লেখ্য থাকে হালিমা খাতুন টুকি তার নিজ নয় মাসের কন্যাকে ও চিনতে পারছে না।
মেয়ের মা বাবা সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে এই নির্মম ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছেন।