স্কুল-কলেজ ফাঁকি দিয়ে শিক্ষার্থীরা আড্ডাবাজি করলে অভিযান চালানো হবে : গোপালগঞ্জ ডিসি

গোপালগঞ্জ শহর ও জেলার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্লাস ফাঁকি দিয়ে শহরের বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট ও পার্কে আড্ডাবাজি করলে অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শাহিদা সুলতানা। তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের ক্লাস ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলছে। এর ফলে তারা পরীক্ষার ফলাফল খারাপ করছে। তাই স্কুল-কলেজের শিক্ষক ও অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের প্রতি খোঁজ-খবর নেওয়া জরুরী। তাদের সন্তানরা ঠিকমতো প্রতিদিন স্কুল-কলেজে যাচ্ছে কিনা বা সবগুলো ক্লাসে অংশ নিচ্ছে কিনা, তা প্রতিদিন খোঁজ নেওয়া খুবই জরুরী হয়ে পড়েছে।

তবে স্কুল চলাকালীন সময়ে বাহিরে গেলে এসব শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গতকাল রোববার গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষ “স্বচ্ছতা”য় জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় জেলা পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা বিপিএম, পিপিএম জানান, মাদক সমাজ ও জাতির ধ্বংসের মূল কারন, তাই মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের পুলিশের অবস্থান জিরো টলারেন্স। চুরি ও ছিনতাই রোধে আমরা পুলিশের টহল বৃদ্ধি করেছি। জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে আমাদের বদ্ধপরিকর। মানুষের কাছে দ্রুত সেবা পৌঁছে দিতে আমরা কাজ করছি। জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় আরো যেসব বিষয় উঠে আসে সেগুলো হচ্ছে, সড়কের পামে ইট, বালু ও গাছের গুড়ি রাখা যাবে না। রাস্তার পাশে অবৈধ দোকান-পাট উচ্ছেদ করতে হবে।

সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শহরের মধ্যে দিয়ে কোন ট্রাক ও ট্রলি চলবে না। যানজট নিরসনে দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহণ করা, পথচারীদের রাস্তা পারাপারে জেব্রা ক্রসিং স্থাপন করা, উঠতি বয়সের যুবকদের হাতে মোটরসাইকেলের লাইসেন্স ও হেলমেট নিশ্চিত করা হবে, অন্যথায়আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। চুরি-ছিনতাই রোধে পুলিশের টহল বৃদ্ধি করা হবে। চাপাইল ব্রীজে দ্রæত সময়ের মধ্যে লাইট করা, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভ‚য়া ডাক্তার শনাক্ত করে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হবে। ইটভাটায় জ্বালানী কাঠ ব্যবহারে মোবাইলকোর্ট পরিচালানা ও নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে নদীতে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করা হবে।

এছাড়া বাজারে সঠিক তদারকি করে দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো: ইকবাল হোসেন-এর সঞ্চালনায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এসময় উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডাঃ নিয়াজ মোহাম্মদ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ লুৎফার রহমান বাচ্চু, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি শেখ মোহাম্মদ রুহুল আমীন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো: খাইরুল আলম, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: রাশেদুর রহমান, কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রথীন্দ্রনাথ রায়, মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: জোবায়ের রহমান রাশেদ, প্রেসক্লাব গোপালগঞ্জের মহাসচিব সৈয়দ মিরাজুল ইসলাম, সিনিয়র সাংবাদিক মোজাম্মেল হোসেন মুন্না, শেখ মোস্তফা জামান, কে.এম. সাইফুর রহমান, জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো: শামীম হাসান, জেলা মার্কেটিং অফিসার মো: আরিফ হোসেন, গোপালগঞ্জ বড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির বারবার নির্বাচিত সভাপতি দাউদ আলী শেখ সহ আইন-শৃঙ্খলা কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *