স্কুলের মাঠ দখল করে কলাবাগান রোপণ

ময়মনসিংহের নান্দাইলে স্কুলের মাঠ দখল করে কলাবাগান রোপন করেছে তারা। উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে অবস্থিত কুতুবপুর পিয়ারজান বিবি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামে ১৯৭৪ সালে জমি লিখে দেয় পিয়ারজান বিবি। জমিদাতা ওই নারী বর্তমানে বেঁচে নেই। ৪৭ বছর পর জমিদাতার নাতিরা দাবি করছেন, জমির মালিকানা পিয়ারজান বিবির ছিল না। তাই তাদের দাদি জমি লিখে দিতে পারেন না। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও জমিদাতার স্বজনদের মধ্যে। প্রায় দেড় বছর আগে করোনার কারণে বন্ধ হয়ে যায় বিদ্যালয়টি।

এ সুযোগে বিদ্যালয়ের মাঠে কলাগাছের বাগান করেছেন জমিদাতার স্বজনেরা। ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, খেলার মাঠজুড়ে কলাগাছ। মাঠ পেরিয়ে টিনের বিদ্যালয় ভবন ।প্রধান শিক্ষক রোকেয়া খাতুন বলেন, ২০২০ সালের মার্চে করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ঘোষণা করে। ওই সময় জমিদাতার স্বজনেরা বিদ্যালয়ের মাঠে কলাগাছ রোপণ করেন। খবর পেয়ে পরদিন শিক্ষকেরা বিদ্যালয়ে গেলে তাদের নানা রকম হুমকি দেওয়া হয়। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে নান্দাইল মডেল থানায় মামলা করেন।

কিন্তু বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে কলাগাছ সরানো হয়নি। পাঠদানের টিনের ঘরটি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও মাঠটি হাতছাড়া হতে বসেছে।প্রধান শিক্ষক আরও জানান, গত ২৯ মে এক সালিসে সিদ্ধান্ত হয়, পিয়ারজানের নাতিরা নতুন করে বিদ্যালয়কে ৩১ শতাংশ জমি সাফকবলা দলিল করে দেবেন। জমি লিখে দেওয়ার বিনিময়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের তিন লাখ টাকা দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে পিয়ারজান বিবির নাতি সুরুজ আলী ও আবুল ইসলাম বলেন, আগের দলিল বাতিল করা না হলে নতুন করে জমি লিখে দেবেন না। তবে তারা তিন লাখ টাকা পেয়েছেন।নান্দাইল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী সিদ্দিক বলেন, জমিদাতার স্বজনেরা একটি মীমাংসিত বিষয়কে জটিল করে তুলেছেন । এ ব্যাপারে অইগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *