সুনামধন্য বেক্সিমকো গ্রুপের কর্মকর্তাদের লাগামহীন দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশে থানায় ডাইরি

শাহাদাৎ হোসেন সরকারঃ ঢাকা অদূরে আশুলিয়া থানার পার্শ্ববর্তী বেক্সিমকো কোম্পানির সান সিটি প্রজেক্ট, উক্ত প্রজেক্টের মূল দায়িত্বরত ম্যানেজার হুজুর ইউনুস আলী ও জেনারেল ম্যানেজার আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এই দুই কর্মকর্তা অন্যের জমি ক্রয়ের নামে প্রতারক দালাল সিরাজ মেম্বার, হুজুর ইউনুস আলী ও আরিফুল এর যোগসাজশে কোম্পানির আড়াই কোটি টাকা আত্মসাৎ করার তথ্য। কোম্পানির স্বার্থ ও মান সন্মান রক্ষার্থে কোম্পানির পক্ষে এবং দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে একাধিক পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ। এছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে সত্য গোপন করে মিথ্যাকে উপস্থাপন করে বেক্সিমকো কোম্পানির মালিক কর্তৃপক্ষেকে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলে তাদের অপকর্ম ঢাকার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। এবং কি সাংবাদিকদের টাকার বিনিময় মুখ বন্ধ রাখার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু তাদের কথায় সাংবাদিকরা এতে রাজি না হওয়ায় একজন নিম্ন শ্রেণীর কর্মচারী দিয়ে কাশিমপুর ও আশুলিয়া থানায় গনকন্ঠ পত্রিকার আশুলিয়া প্রতিনিধি শাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে দুটি জিডি করা হয়েছে। যাকে বাদ করে স্বাক্ষর করতঃ জিডি দায়ের করা হয়েছে সে এই বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে প্রতিবেদককে জানান। এ বিষয়ে উক্ত জিডির বাদী আবুল কালাম আজাদ বলেন , এক্সেকেটিভ শহীদ স্যার এসে আমাকে বলে এই কাগজে স্বাক্ষর করে দেন। আমি জিজ্ঞেস করি এটা কি? জবাবে শহীদ স্যার বলেন এত কিছু আপনার জানতে হবে না, আরিফ ও ইউনুস স্যার স্বাক্ষর দিতে বলেছে সুতরাং স্বাক্ষর করে দেন। আমি চাকুরী বাঁচাতেই শহীদ স্যারে কথা মতো স্বাক্ষর করেছি। কোম্পানির পক্ষে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে কিন্তু ব্যক্তিগত অপরাধীদের পক্ষে আপনি জিডি করলেন কেন? এমন জবাবে সিকিউরিটি সুপারভাইজার আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। চাকরি বাঁচাতেই শহীদ স্যারের কথা মতো আমি স্বাক্ষর করে দিয়েছি। এ বিষয়ে জানতে প্রজেক্ট অফিসার মোকাদ্দেছ আলীর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
গত ০৯/১০/২০২০ইং তারিখ বেক্সিমকোতে কর্মরত কাউয়ুম নামে একজন আশুলিয়া প্রেসক্লাবে এসে বিভিন্ন ধরনের হুমকি স্বরূপ সংবাদ কর্মীদের বিরুদ্ধে বেক্সিমকো কোম্পানির মালিক নিজেই মামলা করতেছে, তোমরা বাঁচতে চাইলে আরিফ ও ইউনুসের বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের তাড়াতাড়ি প্রতিবাদ দাও না হলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে সমস্যা হবে বলে হুমকি প্রধান করে। তিনি আরো বলেন বেক্সিমকো কোম্পানির কর্মকর্তারা যে দুর্নীতি করে এটা মালিক কর্তৃপক্ষের অনুমোদন আছে। সুতরাং এ বিষয়ে আপনাদের নাক না গলানোই মঙ্গল। বিষয়টি সংবাদকর্মীরা কাইয়ুমকে উদ্দেশ্য করে বলেন কোম্পানিতে দুর্নীতি করা কর্মকর্তাদের বৈধতা রয়েছে মানলাম। তাই বলে কি উক্ত কোম্পানির মালিক অন্যের জমি ক্রয়ের নামে জাল জালিয়াতি করে টাকা আত্নসাৎ করতে বলেছেন? । আপনি আরিফুল ইসলাম ও হুজুর ইউনুস আলীর এজেন্ট হয়ে তাদের পক্ষে নিয়ে যে সব অযুক্তিক কথা বার্তা বলে হুমকি ধামকি করতেছেন এটা ঠিক নয় । যদি মিথ্যা সংবাদ হয়ে থাকে তাহলে আরিফ বা ইউনুস নিজেরা বাদী হয়ে মামলা করতে পারেন, আমরা মামলার চ্যালেঞ্জিং জবাব দিয়ে প্রমান করে দিবো কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা ।
জানা যায়, দুর্নীতির কারণেই কাইয়ুমের চাকরি চলে গেলে আরিফুল ইসলাম তাকে চাকরিতে বহাল রাখেন। কাইয়ুম বেক্সিমকো কোম্পানির বিরুদ্ধে বিভিন্ন যড়যন্ত্র করেন যার প্রেক্ষিতে ইপিজেডে কোম্পানির ফ্যাশন গার্মেনসটি বন্ধ হয়ে গেছে।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, হুজুর ইউনুস পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ও রোজা রাখলেও সে শুধু মিথ্যে কথার রাজা। ইউনুস আলীর বিরুদ্ধে বেক্সিমকোর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীর হাজারো অভিযোগ রয়েছে। তিনি প্রতিটি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে করেন দুর্ব্যবহার করেন আর চেয়ারের ক্ষমতার দেখিয় কথায় কথায় কর্মচারীদের চাকুরী খাওয়ার হুমকি দেন। কোম্পানির কর্মচারীরা তাদের কাছে জিম্মি। ইউনুস আলীর বিরুদ্ধে কর্মচারীদের মাঝে রয়েছে চাপা ক্ষোপ । যে কোন সময় ইউনুস আলী এর কারনে হতে পারে কোম্পানির অপূর্ণীয় ক্ষতি । এই সকল বিষয়ে কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা খতিয়ে দেখে এই দুই প্রতারক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশাবাদী ভুক্তভোগীরা।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *