বিচার দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে চিকিৎসাধীন গুরুতর আহত পিতা-পুত্রকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে এনে নানা তালবাহানা করার অভিযোগ গ্রামের মাতুব্বরদের বিরুদ্ধে। বিচার না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেন ভুক্তভোগী পরিবার। গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার দক্ষিণ জলিরপাড় গ্রামে এঘটনা ঘটে। এঘটনায় ভুক্তভোগী অসহায় পবিবার ২৪ আগষ্ট গোপালগঞ্জ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার বিবরণে জানাযায়, গত ১৮ আগষ্ট ওই গ্রামের অনাদ বৈদ্যর মেয়ে আরাধ্যা (১) এর জম্মদিনের অনুষ্ঠানে রং ছিটিয়ে আনন্দ উল্লাস করার সময় ওই গ্রামের লিটন বৈদ্যর স্ত্রী নন্দীতা বৈদ্য একই বংশের বিজন বৈদ্যর শরীরে রং ছিটিয়ে দেয়।
এতে বিজন বৈদ্য প্রতিবাদ করলে তাদের মধ্রে কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। পরে অনুষ্ঠান শেষে বাড়িতে চলে আসলে নন্দীতার স্বামী লিটন বৈদ্য ও তার ভাই মিন্টু বৈদ্য রামদা, লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে বিজন বৈদ্য ও তার পিতা সুধির বৈদ্য , ভাই সুজন বৈদ্যকে কুপিয়ে যখম ও বেধরক মারপিট করে। এতে সুজনের ডান পায়ের হাড় দ্বিখন্ডিত হয়ে যায়। তাৎক্ষনিক তাদের প্রথম মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কপ্লেক্সে পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে । এদিকে ২৪ আগষ্ট চিকিৎসা চলাকালিন সময়ে এলাকার মাতুব্বররা সালিশ মাধ্যমে মিমাংসার করার কথা বলে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে আসে। এরপর মাতুব্বররা কোন উদ্দ্যেগ না নিয়ে কালক্ষেপন শুরু করে।
এতে একদিকে আহতদের চিকিৎসা ব্যহত হচ্ছে অপরদিকে তারা ন্যয বিচার থেকে বঞ্চিত হতে চলছেন। পরে তারা ২৪ আগষ্ট গোপালগঞ্জ আমলী আদালতে ন্যায় বিচার পেতে ভুক্তভোগী বিজন বৈদ্য বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। এবিষয়ে প্রতিপক্ষ লিটন বৈদ্যর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উত্তেজনার বসবর্তী হয়ে একটি আনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় মাতুব্বরা এবিষয়ে মিমাংসার উদ্যেগ নিয়েছেন। এর বাহিরে আমি আর কোন কথা বলতে পারবোনা।