সরকারের বেঁধেদেয়া সময়ে লাইসেন্সের আবেদনই করেনি যশোরের ৫৩ হাসপাতাল ক্লিনিক

 যশোরের ৫৩ টি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিককে কারণ দর্শানো নোটিশ (শোকজ) করেছে সিভিল সার্জন অফিস। সরকারের বেঁধেদেয়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লাইসেন্স নবায়ন ও নতুন লাইসেন্স করতে ব্যর্থ হওয়ায় এসব প্রতিষ্ঠানের মালিককে এই নোটিশ করা হয়। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যশোর সদর উপজেলায় ১৬ টি, শার্শা উপজেলায় ৬ টি, ঝিকরগাছা উপজেলায় ১১ টি, চৌগাছা উপজেলায় ১ টি, মণিরামপুর উপজেলায় ৮ টি, কেশবপুর উপজেলায় ১ টি, বাঘারপাড়া উপজেলায় ৬ টি ও অভয়নগর উপজেলায় ৪ টি রয়েছে। এই তথ্য নিশ্চিত করে সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানান, ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে। সন্তোষ জনক জবাব না হলে প্রতিষ্ঠান গুলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র মতে, ৫৩ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিককে কারণ দর্শানো নোটিশে ২২ অক্টোবর স্বাক্ষর করেন সিভিল সার্জন। পরে পর্যায়ক্রমে নোটিশের কপি প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। কারণ দর্শানো নোটিশ জারি করা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো যশোর শহর ও সদর উপজেলার হাসিনা ক্লিনিক এন্ড নার্সিং হোম, ফাতেমা হাসপাতাল, রোটারী হেলথ সেন্টার হাসপাতাল, সূর্যের হাসি ক্লিনিক, আইডিয়াল প্যাথ, আহাদ ডায়াবেটিক এন্ড হেলথ কমপ্লেক্স, নিরাময় ক্লিনিক, ডিজিটাল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, যশোর ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ইউনাইটেড আই এন্ড জেনারেল হাসপাতাল, আফজালিয়া এস্টেট এস বি এফ কিডনি ডায়ালাইসিস সেন্টার, পিয়ারলেস ডায়াগনস্টিক সেন্টার, এ এফ সি হেলথ ফরটিস আউটরীচ ক্লিনিক, যশোর আধুনিক হাসপাতাল, আলিফ ট্রমা সেন্টার, সততা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া নার্সিং হোম এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, জোহরা ক্লিনিক , সেবা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ল্যাবজোন ডায়াগনস্টিক এন্ড ডক্টরস চেম্বার, বুরুজ বাগান জেনারেল হসপিটাল, মা মনি ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ঝিকরগাছা উপজেলার আনিকা ক্লিনিক, সিগমা মেডিকেয়ার এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আবিদ ডায়াবেটিক হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, সেবা ক্লিনিক হাসপাতাল, ডক্টরস এক্সরে এন্ড প্যাথলজি, সরদার প্যাথলজি সেন্টার, এম এ মেডিকেল, ফায়সাল ডিজিটাল এক্সরে সেন্টার, স্টার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, জননী প্যাথলজি সেন্টার, এস এ ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার, মা মনি হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, হেলথ কেয়ার মেডিকেল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, চৌগাছা উপজেলার ডক্টরস প্যাথলজি, মণিরামপুর উপজেলার ফাতেমা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, জিনিয়া প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি, কপোতাক্ষ সার্জিক্যাল ক্লিনিক, রিজু হাসপাতাল, রাজগঞ্জ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, পারবাজার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নিউ লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টার এন্ড কনসালটেশন, সেফ ডায়াগনস্টিক সেন্টার, কেশবপুর উপজেলার মহাকবি মাইকেল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বাঘারপাড়া উপজেলার রাহিমা প্রাইভেট হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নারিকেল বাড়িয়া ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, প্রতিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, মনোয়ারা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও অভয়নগর উপজেলার ল্যাবওয়েব মেডিকেল সেন্টার, মেডিকেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, তন্দ্রা প্যাথলজি সেন্টার ও স্বপ্নের সেতু ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার। যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানান, যশোরে মোট ২৮৭ টি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। এরমধ্যে নতুন প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স গ্রহণ ও পুরাতন প্রতিষ্ঠানগুলোর লাইসেন্স নবায়ন করার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ঘোষণা অনুযায়ী গত ২৩ আগস্ট পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধেদেয়া হয়। এরমধ্যে ২৩৪ টি হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ লাইসেন্সের জন্য অনলাইনে আবেদন করেন। বাকি ৫৩ প্রতিষ্ঠান মালিক সরকারি আদেশ মানেননি। ফলে প্রতিষ্ঠান মালিকদের কারণ দর্শনো নোটিশ জারি করা হয়েছে। নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হলে ওইসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানান, অনলাইনে আবেদনের পর ২৩৪ টি হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শন করে পক্ষে বিপক্ষে কর্তৃপক্ষের কাছে মতামত পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। কোন প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দেবে আর কোন প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দেবে না সেটা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বুঝবেন। সিভিল সার্জন আরো জানান কারণ দর্শানো নোটিশ পাঠানো ৫৩ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগীদের অস্ত্রোপচার, চিকিৎসাসেবা প্রদান ও প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা নিরীক্ষাসহ সকল কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে পুরোপুরি অবৈধভাবে।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *