গোপালগঞ্জে চাকরি রাজস্ব খাতে অন্তর্ভূক্তির দাবিতে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বেসরকারি কর্মচারীরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। শুক্রবার বেলা ১১টায় সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারী ইউনিয়নের উদ্যোগে সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের সম্মেলন কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুৃষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের কম্পিউটার অপারেটর শাহ্ মো. ওমর ফারুক।

তিনি বলেন, সারাদেশে ৪’শ টি কলেজ ও ৩ টি মাদ্রাসায় কর্মরত তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনীর ৬ হাজার কর্মচারি নিয়োগ পাই। গত ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে আমরা ৩ হাজার-৭হাজার টাকা বেতনে কাজ করতাম। করোনাকালীন সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও আমরা প্রতিষ্ঠান ত্যাগ করি নাই। জীবনের ঝঁকি নিয়ে আমরা কাজ করেছি। কিন্তু দূর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের বেতন কমিয়ে ১৫’শ থেকে সাড়ে ৩ হাজার করা হয়েছে।

বর্তমানে সামান্য বেতনে পরিবার পরিজন নিয়ে আমরা খুব মানবেতর জীবন যাপন করছি। ইতোমধ্যে মাউশি দু’বার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে যেখানে এসব কর্মচারিদের জন্য কোন কোটা রাখা হয়নি। কেন্দ্রীয় কমিটির মহিলা সম্পাদিকা ও নারায়নগঞ্জ সরকারি কলেজের অফিস সহকারি অঞ্জনা রায় বলেন, বিগত ২০১৩ সাল থেকে আমরা দাবি আদায়ের জন্য বিভিন্ন সময়ে কর্মসূচি পালন করে আসছি। আমাদের এসব কথা কেউ কর্ণপাত করেননি।

তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাতৃত্বকালীন ছুটি ঘোষণা করেছেন। একজন নিয়মিত কর্মচারি মাতৃত্বকালিন ছুটিতে গেলে বেতন-ভাতাসহ যাবতীয় সুযোগ সুবিধা পান। অথচ আমরা যারা বে-সরকারি ভাবে কাজ করছি তারা মাতৃত্বকালীন ছুটিতে গেলে তাদের সামান্য বেতন থেকে টাকা কেটে নেওয়া হয়। আমরা শতকারা ৯৫ ভাগ বেসরকারি কর্মচারি সরকারি কলেজে কাজ করছি। যেখানে মাত্র ৫ ভাগ সরকারি কর্মচারি রয়েছেন।

সংবাদ সম্মেল শেষে তারা টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সসমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন,জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সহ ১৫ আগস্ট যারা শহীদ হয়েছে তাদের রূহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া করেন।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক মো. গোলাম মোস্তফা, কর্মচারি ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা বিল্লাল হোসেন মোল্লা, সভাপতি মো. দুলাল সরদার, জেলা কমিটির মো. জাফর শেখসহ দেশের বিভিন্ন কলেজে কর্মরত বেসরকারি কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।