সখের হরিণ শাবকের মৃত্যু

রণিকা বসু (মাধুরী), খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধিঃ পরে বাগেরহাট জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. লুৎফর রহমানকে তিনি বিষয়টি জানান। পার্কে গিয়ে শাবকটিকে দেখে মৃত বলে জানান ডা. লুৎফর রহমান।
রুবেল হোসেন বলেন, সখের বসে সরকারি অনুমতি নিয়ে পার্কে হরিণ পালনের ব্যবস্থা করেছিলাম। দর্শণার্থীদের সাথে আসা শিশুরা হরিণ দেখে আনন্দ পায়। আমি ৪টি হরিণ এনেছিলাম। কয়েকমাস আগে একটি হরিণ দুটো বাচ্চা দিয়েছে। এর মধ্যে একটি মারা গেল। মারা যাওয়া শাবকটির বয়স ছিল ৫ মাসের কাছাকাছি। খুব সখের ও আদরের ছিল হরিণগুলো। বাচ্চাটি মারা যাওয়ায় আমি খুব কষ্ট পেয়েছি।

তিনি আরো বলেন বেশ কিছুদিন হলো দু’টি মা হরিণ দু’টি শাবক প্রসব করেছে। একটি ছেলে ও একটি মেয়ে। ফলে চার থেকে সংখ্যাটি বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ছয়ে। এতে করে আমার খুশির অন্ত ছিল না। তিনিও স্বপ্ন বুনতে শুরু করি, এভাবেই হয়ত একদিন সংখ্যাটি বেড়ে অনেক হবে। পার্কের দর্শনার্থীরাও তা বিমোহিত নেত্রে দেখবেন।

কিন্তু আচমকাই যেন আমার স্বপ্ন ভঙ্গের বেদনায় পেয়ে বসল। কেননা আজ একটি হরিণ শাবক মারা গিয়েছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে জানতে পারি ছেলে শাবকটির দেহে প্রাণ নেই। খামারের এক কোণে নিস্প্রাণ পড়ে আছে। আমার তো মাথায় হাত! কেননা দুটির মধ্যে ছেলে শাবটিই বড়। তাছাড়া অল্প সময়ের মধ্যেই তরতর করে বেড়ে উঠেছিল। আমার সঙ্গে তার সখ্যতাও গড়ে উঠেছিল বেশ।

রুবেল আরও বলেন, মারা যাওয়া বাচ্চাটির পায়ে একটি লাল ফোলা চিহ্ন রয়েছে। আসলে কিভাবে কেন মারা গেল, তা বলতে পারছি না।
জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. লুৎফর রহমানের পরামর্শে শাবকটিকে পার্কের এক পাশে মাটি চাপা দেয়া হয়েছে।
ডা. লুৎফর রহমান বলেন, হরিণ খুব সেন্সিটিভ প্রাণী। তাই যেকোনো সমস্যায় মারা যেতে পারে। তবে পার্কের শাবকটি ফুড পয়জনিংয়ের কারণে মারা যেতে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *