প্রিন্ট এর তারিখঃ ফেব্রুয়ারী ২৪, ২০২৫, ৪:১৯ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ মার্চ ১৯, ২০২৩, ৬:০৬ অপরাহ্ণ
সকালে যাচ্ছিলেন মেয়েকে ঢাবি তে পৌঁছে দিতে, এখন ফিরতে হবে মেয়ের লাশ নিয়ে

গোপালগঞ্জ গোপালগঞ্জ শহরের পাচুরিয়া এলাকার মাসুদ মিয়া ৬০। মেয়ে সুইটি ২০ কে ঢাকায় পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন। মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে দ্বিতীয় বর্ষে পড়তেন।
ঢাকার মিরপুরের ভাড়া বাসায় থাকতেন। সকালে যাচ্ছিলেন মেয়েকে ঢাবি তে পৌঁছে দিতে, এখন ফিরতে হবে মেয়ের লাশ নিয়ে। রবিবার (১৯ মার্চ) ভোরে গোপালগঞ্জ থেকে বাসে ওঠেন বাবা-মেয়ে।
মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় বাসটি পৌঁছালে পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে প্রায় পঞ্চাশ ফুট নিচে পড়ে যায়। এতে মেয়ে সুইটি ঘটনাস্থলে মারা যান।
আহত হন মাসুদ মিয়া। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় শিবচরের পাঁচ্চর এলাকার ইসলামিয়া হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। চোখের সামনে মেয়েকে হারিয়ে নির্বাক বাবা। এদিকে মেয়ের মৃত্যুর কথা শুনে গোপালগঞ্জের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
একমাত্র মেয়ের মৃত্যুর কথা যেন মেনে নিতে পারছে না নিহত সুইটির মা। মেয়ের মৃত্যুর কথা মনে পড়লে বার বার অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে। বার বার তার বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন প্রতিবেদক। নিহত সুইটির মামা নুরু মিয়া বলেন, আমার দুলাভাই এসেনশিয়াল ড্রাগসে নিরাপত্তরক্ষীর চাকরি করেন।
আমার একটাই ভাগ্নী। ওর বাবা সকালে মেয়েকে ঢাকায় পৌঁছে দিতে গিয়েছিলেন। সকালে সাড়ে পাচটার গাড়িতে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। দশটার আমাদের কাছে ফোন আসে আমার মেয়ে নাই।দুলাভাইয়ের সাথে ফোনে কথা হয়েছে। আমাদের এখান থেকে লোক গিয়েছে। বাবা আর মেয়েকে আনতে।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত