সম্প্রতি খুলনা জেলার রূপসার অন্তর্ভুক্ত সিয়ালী গ্রামে ন্যাক্কার জনক ভাবে মন্দিরে ভাংচুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায় ও সংখ্যালঘুজাতি সম্প্রদায়ের বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং মন্দিরে হামলা, ভাংচুর,চুরি,রাতের অন্ধকারে বসত বাড়িতে আগুন ও প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে এবং এসব হামলাকারীদের আইনে আওতায় এনে দ্রুত চিহ্নিত ও সনাক্ত করে গ্রেফতারের দাবিতে বরিশাল সহ সারা বাংলাদেশ ব্যাপি মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু যুব মহাজোট সহ বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে পর্যায়ক্রমে গত শুক্রবার (১৩ আগস্ট) সকাল ১০:৩০ ঘটিকায় নগরীর সদর রোডের অশ্বিনী কুমার হলের সামনে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু যুব মহাজোটের বরিশাল শাখার নবনিযুক্ত সন্মানিত সভাপতি সঞ্জয় ঘোষের সভাপতিত্বে উক্ত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন শ্রেনীর সন্মানিত ব্যক্তিবর্গ।বক্তারা বলেন,সারা বিশ্বসহ বাংলাদেশের চলমান মহামারী নোভেল করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ সংক্রমন মৃত্যুর মিছিল চলাকালীন সময়ে দেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট ও অস্বাভাবিক পরিস্থিতি করতে কিছু মৌলবাদী-জিহাদপন্থি ও স্বাধীনতা বিরোধী চক্র এই হামলাগুলোর ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে। এই ধরণের ন্যাক্কারজনক হামলা ও নির্যাতন চালিয়ে বাংলাদেশ ও বর্তমান সরকারকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করে এ দেশ থেকে হিন্দুসম্প্রদায় ও অন্যান্য সংখ্যালঘু জাতিকে বিতারিত ও শূণ্য করার পায়তারা চলাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে আইন ও বর্তমান ডিজিটাল তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে সুনির্দিষ্ট তথ্য ও গোয়েন্দা নজরদারী বাড়িয়ে এসব হামলাকারীদের সনাক্ত করে কঠোর হাস্তে দমনের জন্য বাংলাদেশ গনপ্রজাতন্ত্রী সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন ও বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ ও হস্তক্ষেপ একান্ত জরুরি।সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন নিপীড়ন বন্ধে এ ধরনের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশের পুনরাবৃত্তি যেন বারংবার না ঘটে সেই পদক্ষেপ গ্রহন করার জন্য সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অবদান অনস্বীকার্য।