লখপুর গ্রুপের ১৭ শিল্পপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে সহস্রাধিক শ্রমিকের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

বাগেরহাটের ফকিরহাট, মোংলা, রূপসাসহ বিভিন্ন স্থানে লখপুর গ্রুপের সতেরটি শিল্পপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে প্রতিষ্ঠানগুলোর কয়েক হাজার শ্রমিক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেছে। শুক্রবার সকাল ১০টায় ফকিরহাটের কাটাখালী মোড় সংলগ্ন মোংলা-খুলনা মহাসড়কে এ কর্মসূচী পালন করে।

বন্ধ হয়ে যাওয়া এসব শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কর্মহীন শ্রমিক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যানারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী থেকে বক্তারা বলেন, ‘‘১৯৮৫ সাল থেকে লখপুর গ্রুপ দক্ষিণাঞ্চলের ১৫ হাজার প্রন্তিক ও দরীদ্র মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করেছিল। বন্ধের আগে প্রতিষ্ঠানগুলো ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি বৈদেশিক মূদ্রা আয় করেছে। শতভাগ রপ্তানীমূখী এসব শিল্পে আন্তর্জাতিক মানের পণ্য বহির্বিশ্বে সমাদৃত হওয়ায় চার বার গোল্ডেন ট্রফি, তিনবার সিলভার ট্রফি, একবার ব্রঞ্জ ট্রফিসহ দেশী বিদেশী বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। শিল্পগ্রুপটির কর্ণধার এস এম আমজাদ হোসেন চারবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক সিআইপি মনোনীত হন। এত অর্জন সত্ত্বেও বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের রোষানালে পড়ার কারণে ২০১২ সাল থেকে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো একে একে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতির পাশাপাশি বেকার হয়ে পরে এ অঞ্চলেন প্রায় ১৫ হাজার শ্রমিক। সাদা সোনা খ্যাত চিংড়ি রপ্তানী ক্ষতির মূখে পড়ায় এ অঞ্চলের মাছ চাষের সাথে জড়িত অসংখ্য মানুষ ক্ষতির সম্মুখিত হয়েছে। এ অবস্থায় শিল্পকারখানাগুলো পুনরায় খুলে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে শ্রমিক কর্মচারীরা দাবী জানান।’’

লখপুর গ্রুপের কর্ণধার এস এম আমজাদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘বিগত সরকারের মদদপুষ্ট কিছু মানুষের ব্যক্তিগত স্বার্থপুরণ না করায় রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে আমার ১৭টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। মিথ্যা মামলা, হয়রানি, বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার পরেও শ্রমিকদের কথা চিন্তা করে প্রতিষ্ঠানগুলো চালু রাখার চেষ্টা করি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমার ও প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাংক হিসাবগুলো বন্ধ করে দেওয়ায় আর প্রতিষ্ঠানগুলো চালু রাখা সম্ভব হয়নি। এখন আমার ব্যাংক হিসাব ও ব্যবসায়িক নিবন্ধন খুলে দিলে ব্যবসা করতে পারবো। শ্রমিকেরা তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে।”

উল্লেখ্য, লখপুর গ্রুপের মধ্যে রূপসা ফিস এন্ড এ্যালাইড ইন্ডা. লিঃ, লখপুর ফিস প্রসেসিং লিঃ, বাগেরহাট সি ফুডস ইন্ডা. লিঃ, সাউদার্ন ফুডস লিঃ, সম্পা আইস এন্ড কোল্ড স্টোরেস লিঃ, বাংলাদেশ পলি প্রিন্টিং ইন্টা. লিঃ, খুলনা প্রিন্টিং এন্ড প্যাকেজিং লিমিটেডসহ ১৭টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ##



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *