গত ০৯-১১-২০২০ ইং তারিখ ভোর রাতে ফরিদপুর বাইপাস সড়কে খুনিরা লক্ষীকে পর্যপুরি কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। টহল পুলিশের একটি দল গুরুতর আহত অবস্তায় লক্ষীকে পায়। টহল পুলিশ লক্ষীকে তৎখানিক ভাবে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হসপিটালে নিয়ে যায়। দীর্ঘ কয়েক ঘন্টা মৃত্যুর সঙ্গে পান্জা লড়ে দুপুর ১২টার দিকে লক্ষী মারা যায়।
লক্ষী ফরিদপুর পতীতা পল্লীর একজন যৌনকর্মী। পতীতালয়ে কর্মরত সুন্দর যৌনকর্মীদের একটা করে প্রেমিক থাকে, ওদের ভাষায় যাকে বলে নাঙ্গ!! পেটের তাগিদে দেহ ব্যাবসা করলেও মনের তাগিদে ভালোবাসতো সেলিম নামের একটা ছেলেকে। লক্ষী রানী সাহা হিন্দু হলেও ভালোবাসার মানুষের জন্য ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেন। গত রমজানের সে সবগুলো রোজা আদায় করেন।
নিজের শরীর বিক্রি করা টাকা দিয়ে ভালোবাসার মানুষ সেলিমকে বানিয়ে দেয় একটা দোকান। সেই দোকান পেয়েও সেলিম যখন অসন্তুষ্ট, তখন তাকে কিনে দেয় একটা অটোগাড়ী।কিন্তু তাতেও সেলিমের মন ভরাতে পারেনি। সেলিম আবদার করে তাকে একটা গাড়ী (মাইক্রোবাস)কিনে দিতে হবে। লক্ষীর পক্ষে সেটা সম্ভব হয়নি আর তাই ভালোবাসার মানুষ তাকে উপহার দেয় মৃত্যু।
যতোদুর জানি আজকে পর্যন্ত পুলিশ ঘাতক সেলিমকে গ্রেফতার করছে। কিন্তু আমি সিয়র সেলিম একা কখনোই একটা মানুষকে ঐভাবে কুপিয়ে হত্যা করতে পারেনি। অবশ্যই তার সাথে দু-চারজন সহযোগী ছিলো। ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কাছে আকুল আবেদন রইলো একজন যৌনকর্মীর পক্ষে বাদী হয়ে কেউ মামলা চালাবেনা তাই আপনি আমাদের একমাত্র ভরসা। আপনি নিজ দায়িত্বে লক্ষী হত্যার প্রত্যেকটা আসামিকে দ্রুত গ্রেফতার করে তাদের নামে এমন চার্জসিট দাখিল করুন যাতে তারা আইনের কোন ফাঁক ফোকর দিয়ে যেন কোন ভাবেই বেরিয়ে আসতে না পারে।