স্টাফ রিপোর্টারঃ
দেশে যখন প্রথম করোনা ভাইরাস দেখা দেয় তখন পুরো দেশে এক সাথে লকডাউন করা হয়। এরপরও দেশের করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। দেশে দিন দিন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ও প্রাণ যাওয়ার সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ধিরে ধিরে দেশের সকল প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। এমনকি ঈদের পর দেশের সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে। এরপর থেকে দেশের করোনা ভাইরাসের প্রকোপ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশে বর্তমানে একটি দুটি জেলার মধ্যে করোনা ভাইরাস সীমাবদ্ধ নেই। দেশের বিভিন্ন জেলায় করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে, রাজধানী ঢাকা শহরের অবস্থ খারাপ থেকে আরও খারাপ হয়েছে। এ জন্য আবারও লকডাউন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এবার দেশের যে সকল স্থানে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ সব থেকে বেশি সেই সকল স্থান চিহ্নিত করা হচ্ছে আর সেই অনুযায়ী লকডাউন করার ঘোষণা করা হচ্ছে। আর সেই অনুযায়ী ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি এলাকা লকডাউন করা হয়েছে। তবে এবার এই সকল লকডাউন করা এলাকায় কিছু বিধি-নিষেধ জারি করা হয়েছে।
১। সীমিত আকারে অফিস, যানবাহন খোলা থাকলেও যেসব ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ রয়েছে, তা ৩০ জুন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। সাপ্তাহিক ছুটি এ নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
২। রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া (প্রয়োজনীয় ক্রয়-বিক্রয়, কর্মস্থলে যাতায়াত, ওষুধ কেনা, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন/সৎকার) কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না; বাইরে চলাচলের সময় অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এ নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৩। বিধিনিষেধের সময়ে জনসাধারণ এবং সব কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই স্থাস্থ্য সেবা বিভাগের জারি করা নির্দেশাবলি কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে।
৪। হাটবাজার, দোকান-পাটে কেনাবেচার পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালন করতে হবে। শপিংমলের প্রবেশমুখে হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ ও স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। শপিংমলে আসা যানবাহনগুলোকে অবশ্যই জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা রাখতে হবে। বাজার, দোকানপাট এবং শপিংমলগুলো বিকাল ৪টার মধ্যে অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।
৫। আইনশৃঙ্খলা, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা কাজে নিয়োজিত সংস্থা এবং জরুরি পরিষেবা যেমন- ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্য সেবা, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দর (স্থলবন্দর, নদীবন্দর ও সমুদ্রবন্দর) কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবা এবং অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসগুলো, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার আওতা-বহির্ভুত থাকবে।
৬। সড়ক ও নৌপথে সকল প্রকার পণ্য পরিবহনের কাজে নিয়োজিত ট্রাক, লরি, কার্গো ভেসেল চলাচল অব্যাহত থাকবে।