‘র্যাবের নিষেধাজ্ঞা’ প্রসঙ্গে মোমেন-ব্লিংকেন বৈঠক
এম এম ছাদ্দাম হোসেন, ঢাকা প্রতিনিধিঃ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছে, র্যাব ও এর সাবেক-বর্তমান কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য দীর্ঘ প্রক্রিয়া পার হতে হবে।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বর্তমানে ওয়াশিংটন সফর করছেন। সফরের অংশ হিসেবে তিনি সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন তারা। সেখানে বাংলাদেশের তরফ থেকে তোলা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল, র্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রসঙ্গ।
ব্লিংকেনের সঙ্গে বৈঠকের পর র্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটা ওদের প্রসেস আছে। এটা আমাদের কমপ্লিট করতে হবে। এই দেশে প্রায় জিনিসেরই দেয়ার আর মেনি প্রসেসেস… ওই কমিটির ওই লোকগুলোকে সন্তুষ্ট করতে হবে… এটাতে সময় লাগবে। সুইচের মতো না যে একদিনে অন আর অফ করতে পারবে।’
‘গুরুতর’ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক, বর্তমান পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমদসহ বাহিনীর সাত কর্মকর্তার ওপর গত বছর ১০ ডিসেম্বর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়।
সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বৈঠকে র্যাব গঠন এবং নিষেধাজ্ঞা পরবর্তী চার মাসে এ এলিট ফোর্সের কাজের অগ্রগতি তুলে ধরেন মোমেন।
র্যাব হয়তো কখনো কখনো ‘অতিরিক্ত বা বেশি কিছু করে’ ফেলেছে— এমন বক্তব্য বৈঠকে দেওয়ার কথা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তবে ইনবিল্ট সিস্টেম আছে জবাবদিহির এবং অনেকের শাস্তি হয়েছে। এমনকি লাইফ একজিকিউশনও হয়েছে। সুতরাং এখানে জবাবদিহি আছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন জবাবে কী বলেছেন, সে বিষয়ে ধারণা দিয়ে মোমেন বলেন, “উনি বললেন যে, ‘এটার প্রসেস আছে, সেই প্রসেসে হবে। তবে আমাদের জবাবদিহি দরকার। আমরা এ ব্যাপারে বেশ সোচ্চার’।”
“আমি বললাম, আমরা সব ধরনের প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছি। তখন বললেন যে, ’গত চার মাসে কেউ মারা যায়নি’। আর ডিএসএ-তেও আমাদের ট্র্যাক রেকর্ড গুড। গত চার মাসে একজনও অ্যারেস্ট হয়নি। উনি বললেন, ‘এটা ভালো’।”
এ দিকে ভয়েস অব আমেরিকা জানায়, বৈঠকের শুরুতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন বলেন, ‘বিগত ৫০ বছরের স্মৃতি মনে করলেও, আমরা আসলে আগামী ৫০ বছরের সূচনার কথা চিন্তা করছি।’ দুই দেশের মধ্যকার অংশীদারত্ব জোরদার করার বিষয়ে কাজ করার ক্ষেত্রেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় ভূমিকার প্রশংসা করেন ব্লিংকেন। তিনি এও জানান যে, কোভ্যাক্সের আওতায় বাংলাদেশকে এই পর্যন্ত প্রায় ৬ কোটি ১০ লাখ ডোজ টিকা দান করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে মানবতা ও উদারতা প্রদর্শন করেছে।’ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনেও বাংলাদেশের অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানান ব্লিংকেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন তার বক্তব্যের শুরুতেই প্রায় ৬ কোটি ১০ লাখ ডোজ টিকা দান এবং মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি দেশটির আচরণটিকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে আখ্যায়িত করার জন্যও যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের দুঃসময় এবং সুসময়ের বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে ড. মোমেন উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিগত ৫০ বছরে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে একটি প্রাণবন্ত অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার যাত্রায় যুক্তরাষ্ট্রকে এক গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রকে নিজেদের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন যে, দেশটি বাংলাদেশে সঞ্চিত বিনিয়োগের দিক থেকেও বৃহত্তম অংশীদার। তবে সেই বিনিয়োগের বেশির ভাগই জ্বালানি খাতে হয়েছে বলে ড. মোমেন বলেন যে, এখন হয়তো অন্যান্য খাতেও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র উৎসাহী হবে।মোমেন-ব্লিংকেন বৈঠকে ‘র্যাবের নিষেধাজ্ঞা’ প্রসঙ্গ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছে, র্যাব ও এর সাবেক-বর্তমান কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য দীর্ঘ প্রক্রিয়া পার হতে হবে।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বর্তমানে ওয়াশিংটন সফর করছেন। সফরের অংশ হিসেবে তিনি সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন তারা। সেখানে বাংলাদেশের তরফ থেকে তোলা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল, র্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রসঙ্গ।
ব্লিংকেনের সঙ্গে বৈঠকের পর র্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটা ওদের প্রসেস আছে। এটা আমাদের কমপ্লিট করতে হবে। এই দেশে প্রায় জিনিসেরই দেয়ার আর মেনি প্রসেসেস… ওই কমিটির ওই লোকগুলোকে সন্তুষ্ট করতে হবে… এটাতে সময় লাগবে। সুইচের মতো না যে একদিনে অন আর অফ করতে পারবে।’
‘গুরুতর’ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক, বর্তমান পুলিশ প্রধান বেনজীর আহমদসহ বাহিনীর সাত কর্মকর্তার ওপর গত বছর ১০ ডিসেম্বর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়।
সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বৈঠকে র্যাব গঠন এবং নিষেধাজ্ঞা পরবর্তী চার মাসে এ এলিট ফোর্সের কাজের অগ্রগতি তুলে ধরেন মোমেন।
র্যাব হয়তো কখনো কখনো ‘অতিরিক্ত বা বেশি কিছু করে’ ফেলেছে— এমন বক্তব্য বৈঠকে দেওয়ার কথা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তবে ইনবিল্ট সিস্টেম আছে জবাবদিহির এবং অনেকের শাস্তি হয়েছে। এমনকি লাইফ একজিকিউশনও হয়েছে। সুতরাং এখানে জবাবদিহি আছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন জবাবে কী বলেছেন, সে বিষয়ে ধারণা দিয়ে মোমেন বলেন, “উনি বললেন যে, ‘এটার প্রসেস আছে, সেই প্রসেসে হবে। তবে আমাদের জবাবদিহি দরকার। আমরা এ ব্যাপারে বেশ সোচ্চার’।”
“আমি বললাম, আমরা সব ধরনের প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছি। তখন বললেন যে, ’গত চার মাসে কেউ মারা যায়নি’। আর ডিএসএ-তেও আমাদের ট্র্যাক রেকর্ড গুড। গত চার মাসে একজনও অ্যারেস্ট হয়নি। উনি বললেন, ‘এটা ভালো’।”
এ দিকে ভয়েস অব আমেরিকা জানায়, বৈঠকের শুরুতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন বলেন, ‘বিগত ৫০ বছরের স্মৃতি মনে করলেও, আমরা আসলে আগামী ৫০ বছরের সূচনার কথা চিন্তা করছি।’ দুই দেশের মধ্যকার অংশীদারত্ব জোরদার করার বিষয়ে কাজ করার ক্ষেত্রেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় ভূমিকার প্রশংসা করেন ব্লিংকেন। তিনি এও জানান যে, কোভ্যাক্সের আওতায় বাংলাদেশকে এই পর্যন্ত প্রায় ৬ কোটি ১০ লাখ ডোজ টিকা দান করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে মানবতা ও উদারতা প্রদর্শন করেছে।’ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনেও বাংলাদেশের অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানান ব্লিংকেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন তার বক্তব্যের শুরুতেই প্রায় ৬ কোটি ১০ লাখ ডোজ টিকা দান এবং মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর প্রতি দেশটির আচরণটিকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে আখ্যায়িত করার জন্যও যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের দুঃসময় এবং সুসময়ের বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে ড. মোমেন উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বিগত ৫০ বছরে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে একটি প্রাণবন্ত অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার যাত্রায় যুক্তরাষ্ট্রকে এক গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রকে নিজেদের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন যে, দেশটি বাংলাদেশে সঞ্চিত বিনিয়োগের দিক থেকেও বৃহত্তম অংশীদার। তবে সেই বিনিয়োগের বেশির ভাগই জ্বালানি খাতে হয়েছে বলে ড. মোমেন বলেন যে, এখন হয়তো অন্যান্য খাতেও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র উৎসাহী হবে।