নীলফামারীর সৈয়দপুরে ১৮৭০ সালে আসাম বেঙ্গল রেলওয়ের বিশাল কারখানা গড়ে উঠে । দেশের বৃহৎ রেলকারখানা এ শহরে গড়ে উঠার মধ্য দিয়েই সৈয়দপুর-চিলাহাটি ও সৈয়দপুর থেকে খুলনায় ট্রেনের মাধ্যমে যোগাযোগ শুরু হয়।
ট্রেনের মাধ্যমে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সৈয়দপুর থেকে যাতায়াত করে ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, চিলাহাটি, ডোমার, দিনাজপুর ও নীলফামারীর মানুষ। সৈয়দপুর থেকে ট্রেন ভ্রমন নিরাপদ তাই প্রতিদিন সৈয়দপুর রেলওয়ে ষ্টেশন দিয়ে ২টি আন্তঃ নগর ট্রেন সহ প্রায় ৭টি ট্রেন যাতায়াত করে। চিলাহাটি থেকে সৈয়দপুর হয়ে ঢাকা যাতায়াতের নিরাপদ ভ্রমনের এ ট্রেন যাতায়াতের রাস্তায় ৮টি রেল ক্রসিং এখন মরণ ফাঁদ।
এসব রেল ক্রসিং দিয়ে দিন-রাত মানুষ ও গবাদী পশু চলাচল করলেও রেল ক্রসিং গুলোতে সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন পাহারাদার নেই। আর এ কারণেই হরহামেশাই ঘটছে প্রাণহানির ঘটনা। চিলাহাটি থেকে সৈয়দপুর পর্যন্ত ৮টির মধ্যে ঢেলাপীর রেল ক্রসিং এ প্রায় সময় ঘটেই চলেছে প্রাণহানির ঘটনা। এছাড়া অন্যান্য রেল ক্রসিং গুলোতেও এক প্রকার মরণ ফাঁদ। অথচ রেল কর্তৃপক্ষ রয়েছেন সম্পূর্ণ নিরব। এ বিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষ সমাধানের লক্ষ্যে আলোচনা ও ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ১৮৭০ সাল থেকে ২০১৯ পর্যন্ত অগণিত মানুষ ও গবাদী পশু রেল ক্রসিং মারা গেলে শুধু সিদ্ধান্তই নেয় রেল কর্তৃপক্ষ কিন্তু বাস্তবায়ন লক্ষ্য করা যায়নি।
এর ফলে চলাচল করা মানুষজন প্রায় সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মৃত্যুকোলে ঢলে পড়ছেন। আর কত মানুষ ও গবাদী পশু মারাগেলে রেল ক্রসিং গুলো নিরাপদের চাদরে ঢাকা হবে এ প্রশ্ন নীলফামাী জেলার মানুষের। অরক্ষিত ৮ রেল ক্রসিং নিয়ে কথা হয় সৈয়দপুর রেলওয়ে ষ্টেশন মাষ্টার শওকত আলীর সাথে তিনি বলেন রেল ক্রসিং সংস্কার নিয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তবে বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে বলেন তিনি। এ বিষয়ে উপ-সহকারী প্রকৌশলী নারায়ন চন্দ্র জানান চিলাহাটি স্থল বন্দরের কাজ প্রায় শেষের দিকে। সম্পূর্ণ শেষ হওয়ার পরপরই অরক্ষিত রেল ক্রসিং গুলি ঢেলে সাজানোর জন্য রেল মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হবে বলে তিনি সংবাদিকদের জানান।