নওগাঁর রাণীনগরে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীসহ তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার উপজেলার সদর বাজারে ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ী বিপ্লবের বাড়ি থেকে ২২ ভরি স্বর্ণের গহনা, ৩ ভরি চাঁদী ও নগদ টাকা চুরির ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় রাণীনগর থানা পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতভর নওগাঁ সদর ও বগুড়ার আদমদীঘি থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে দুই স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও এক চোরকে আটক করেছে। এ সময় চুরির ১ ভরি ৬ আনা স্বর্ণ উদ্ধার এবং চুরি যাওয়া নগদ টাকাসহ স্বর্ণ বিক্রির ৯০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। আটককৃতরা হলেন, নওগাঁ সদরের আরজি নওগাঁ মধ্যপাড়া (লাটাপাড়া) গ্রামের মৃত সাজ্জাদের ছেলে সাগর ওরফে কালু (৩০), পার নওগাঁর খোরশেদ আলী মোল্লার ছেলে স্বর্ণ ব্যবসায়ী সান্তাহারে বসবাসকারী আতাউর রহমান ওরফে মিলন (৪২), দক্ষিন কালিতলা (হাট নওগাঁর) মৃত আহম্মদ আলী মন্ডলের ছেলে স্বর্ণ ব্যবসায়ী মঞ্জুরুল ইসলাম ওরফে মাইকেল (৫১)। রাণীনগর থানার ওসি আব্দুল কালাম আজাদ বলেন, সদর বাজারের অডিটোরিয়ামের পূর্বপাশে বিপ্লব নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে বৃহস্পতিবার চুরি ঘটনা ঘটে। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোাগে চোরেরা প্রাচীর টপকে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে সোকেসের ড্রয়ারের তালা ভেঙ্গে ড্রয়ারে থাকা মোট ২২ ভরি ১২ আনা ২ রতি স্বর্ণের গহনা, ৩ ভরি ওজনের চাঁদীর চুলের কাটা এবং নগদ ১০ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায়।

বাড়ির সদস্যরা দুপুরের দিকে বাড়িতে এসে দরজার তালা ভাঙ্গা এবং ঘরের সব আসবাবপত্র এলোমেলো দেখতে পায়। এরপর তারা বাড়ির সোকেসের ড্রয়ারের রাখা স্বর্ণালংকার, চাঁদী ও নগদ টাকা দেখে নেই। তখন বাড়ির লোকজন বিষয়টি থানা পুলিশকে জানায়। ওসি জানান, ওই চুরির ঘটনায় চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধারসহ চোরদের আটক করতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযানে নামে থানা পুলিশ।

অভিযানে চোর সাগর ওরফে কালুকে আটক করাসহ চুরির ১০ হাজার টাকা উদ্ধার করে। তার দেওয়া তথ্যে মতে, সান্তাহারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী আতাউর রহমান ওরফে মিলনকে আটক করে চুরির স্বর্ণ বিক্রির ৮০ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর নওগাঁ শহরের স্বর্ণ ব্যবসায়ী মঞ্জুরুল ইসলাম ওরফে মাইকেলকে আটক করা হয়। এ সময় তার দোকান থেকে চুরির ১ ভরি ৬ আনা স্বর্ণ উদ্ধার করে পুলিশ। আটক তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে শুক্রবার বিকেলে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। আর চুরি যাওয়া সব স্বর্ণালংকার ও চাঁদী উদ্ধারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।