রাণীনগরে দোকান ঘর ভাংচুর করে জায়গা দখল! থানায় মামলা গ্রেফতার দুই

নওগাঁর রাণীনগরে প্রকাশ্যে ইটের চারটি দোকান ঘর ভাঙচুর করে জায়গা দখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বেতগাড়ী-ঘোষগ্রাম বাজারে সিরাজসহ তার ভাইদের চারটি দোকানঘর ভাঙচুর করে জায়গা দখলে নেয় একই গ্রামের আব্দুল মতিন গংরা। শনিবার প্রকাশ্যে এসব ইটের তৈরি দোকানঘর ভাঙচুর করে জায়গা দখলে নিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় শনিবার রাতে রাণীনগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার প্রেক্ষিতে এদিন রাতেই থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ঘোষগ্রামের রসুলের ছেলে আব্দুল মতিন (৩৯) ও ইউনুছ (৪২) কে গ্রেফতার করেছে।

রবিবার গ্রেফতারকৃত দুইজনকে আদালাতে পাঠানো হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, বেদগাড়ী বাজার ঘোষগ্রামের মৃত রকিম উদ্দিন ১৯৭২ সালে একই গ্রামের বাছতুল্লাহ ও বাছেরের কাছ থেকে বেতগাড়ী বাজারে ৫ শতক জমি ক্রয় করেন। এরপর সময় ওই জায়গাতে বেশ কিছু ঘর নির্মাণ করে ভোগ দখল করে আসছেন তিনি। এরপর রকিম উদ্দিন মারা যাবার পর তার তিন ছেলে বেলাল, সিরাজ ও দুলাল ওই সব সম্পত্তি ভোগদখল করে আসছে। গত ২ মাস আগে তাদের নির্মাণকৃত কয়েকটি ইটের তৈরি দোকান ঘরের বেহাল অবস্থা হলে সেসব দোকান মেরামতের জন্য উদ্যোগ নেন তারা।

হঠাৎ করে একই গ্রামের রসুলের ছেলে আব্দুল মতিন গংরা ওখানে এক শতক জায়গা তাদের আছে বলে দাবি করেন এবং জায়গা ছেড়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। জায়গা ও দোকান ঘরের মালিক সিরাজ শা জানান, হঠাৎ করে শনিবার মতিনসহ তার কয়েকজন ভাইয়ের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল প্রকাশ্যে দিবালোকে আমাদের জায়গাতে নির্মাণকৃত ইটের তৈরি চারটি দোকানঘর ভাঙচুর করে দোকান ঘরের সামনে ঘরের টিনের ছাউনি দিয়ে ওই জায়গা তাদের দখলে নিয়েছে। এতে করে দোকান ঘর ও দোকানের ঘরের মধ্যে থাকা মালামালসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

এঘটনায় আমি বাদী হয়ে রাণীনগর থানায় মামলা দায়ের করেছি। সিরাজ জানান, ওই জায়গা নিয়ে আদালতে মামলা করার পর আমরা আদালত থেকে আমাদের পক্ষে রায় পেয়েছি। এরপর ওই দোকান ঘরগুলোর উপরে ১৪৪ ধারা নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও তারা প্রকাশ্য দিবালোকে দোকানঘর ভাঙচুর করে জায়গা দখলে নেয়। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন তিনি। এদিকে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত আব্দুল মতিন বলেন, ১৯৯০ সালে আমার বাবা ওই জায়গা কিনেছিলন। সেখানে আমাদের ১ শতক জায়গা রয়েছে। সেই জায়গা সিরাজসহ সিরাজের ভাইয়েরা দখলে রেখেছিলেন।

আমরা আমাদের জায়গাতে গিয়েছি অন্যের জায়গাতে যায়নি। এছাড়া আমরা কোন দোকান ঘর ভাঙচুরও করিনি বলে দাবি করেছেন তিনি। এ ব্যাপারে রাণীনগর থানার ওসি শাহিন আকন্দ বলেন, দোকানঘর ভাঙচুরের ঘটনায় মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেফতার করে রবিবার আদালতে পাঠিয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যহত রয়েছে।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *