নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার চকাদিন গ্রামে প্রকাশ্য দিবালোকে প্রায় তিন লক্ষ টাকার গাছ কাটার ঘটনার মামলার আসামিরা অধরা। মামলার ৬ দিন পেরিয়ে গেলেও ১১ জন আসামির মধ্যে মাত্র একজন আসামিকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া মামলার অন্যান্য আসামিদের এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। অভিযোগ উঠেছে আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও রহস্যজনক কারনে তাদের ধরা হচ্ছে না। এদিকে আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন মামলার বাদি। জানা গেছে, উপজেলার চকাদিন গ্রামের মৃত বাদেশ আলীর ছেলে আবুল সরদারের সাথে একই গ্রামের মৃত ইয়ার মন্ডলের ছেলে রফিকুল ইসলামের দীর্ঘদিন ধরে জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো।
এরই জে¦র ধরে গত ১৭ এপ্রিল সকালে রফিকুলের নেতৃত্বে তার লোকজন হামলা চালিয়ে আবুল সরদারের ১৮ শতাংশ জমিতে থাকা প্রায় তিন লক্ষ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে ওই জায়গা দখল করে ঘর নির্মানের চেষ্টা করে। এ সময় রাণীনগর থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে দখল বন্ধ করে দেয়। এ ঘটনায় আবুল সরদার বাদি হয়ে ১৯ এপ্রিল ১১ জনের নাম উল্লেখ করে রাণীনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ পরের দিন মামলার ৬ নাম্বার আসামি সিরাজ সরদারকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়। এর পর থেকে মামলার ৬ দিন পেরিয়ে গেলেও মামলার মূলহোতাসহ অন্যান্য আসামিদের এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
মামলার বাদি আবুল সরদার জানান, মামলা করার পর থেকে পুলিশ শুধু একজন আসামিকে গ্রেফতার করেছে। মুলহোতাসহ মামলার অন্যান্য আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলেও রহস্যজনক কারনে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। এছাড়া গ্রেফতার হওয়া ওই আসামি জামিনে বেড়িয়ে এসে অন্যান্য আসামিদের নিয়ে আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। মামলা করার পর থেকেই আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। দ্রুত মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন মামলার বাদি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রতন বলেন, একজন আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলার অন্যান্য আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। মামলার আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ব্যাপারে রাণীনগর থানার ওসি শাহিন আকন্দ বলেন, মামলার অন্যান্য আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। আসামিদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া আসামি জামিনে বেড়িয়ে এসে মামলার বাদিকে হুমকি দেওয়ার ঘটনা যদি ঘটে থাকে তাহলে বাদি থানায় লিখিতভাবে জানালে পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।