নওগাঁর রাণীনগরে প্রকাশ্য দিবালোকে চারটি ইটের দোকান ঘর ভাঙচুর করে জায়গা দখলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বেতগাড়ী-ঘোষগ্রাম বাজারে সিরাজসহ তার ভাইদের চারটি দোকানঘর ভাঙচুর করে জায়গা দখলে নেয় একই গ্রামের আব্দুল মতিন গংরা। শনিবার ভোর থেকে শুরু করে সকাল ৯টা পর্যন্ত প্রকাশ্যে এসব ইটের তৈরি দোকানঘর ভাঙচুর করে জায়গা দখলে নিয়েছে তারা বলে অভিযোগ রয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, বেদগাড়ী বাজার ঘোষগ্রামের মৃত রকিম উদ্দিন ১৯৭২ সালে একই গ্রামের বাছতুল্লাহ ও বাছেরের কাছ থেকে বেতগাড়ী বাজারে ৫ শতক জমি ক্রয় করেন।
এরপর সময় ওই জায়গাতে বেশ কিছু ঘর নির্মাণ করে ভোগ দখল করে আসছেন তিনি। এরপর রকিম উদ্দিন মারা যাবার পর তার তিন ছেলে বেলাল, সিরাজ ও দুলাল ওই সব সম্পত্তি ভোগদখল করে আসছে। গত ২ মাস আগে তাদের নির্মাণকৃত কয়েকটি ইটের তৈরি দোকান ঘরের বেহাল অবস্থা হলে সেসব দোকান মেরামতের জন্য উদ্যোগ নেন তারা। হঠাৎ করে একই গ্রামের রসুলের ছেলে আব্দুল মতিন গংরা ওখানে এক শতক জায়গা তাদের আছে বলে দাবি করেন এবং জায়গা ছেড়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। জায়গা ও দোকান ঘরের মালিক সিরাজ জানান, হঠাৎ করে শনিবার ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত মতিনসহ তার কয়েকজন ভাইয়ের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল প্রকাশ্যে দিবালোকে আমাদের জায়গাতে নির্মাণকৃত ইটের তৈরি চারটি দোকানঘর ভাঙচুর করে দোকান ঘরের সামনে ঘরের টিনের ছাউনি দিয়ে ওই জায়গা তাদের দখলে নিয়েছে।
এতে করে দোকান ঘর ও দোকানের ঘরের মধ্যে থাকা মালামালসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। সিরাজ জানান, ওই জায়গা নিয়ে আদালতে মামলা করার পর আমরা আদালত থেকে আমাদের পক্ষে রায় পেয়েছি। এরপর ওই দোকান ঘরগুলোর উপরে ১৪৪ ধারা নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও তারা প্রকাশ্য দিবালোকে দোকানঘর ভাঙচুর করে জায়গা দখলে নেয়। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন তিনি। এদিকে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত আব্দুল মতিন বলেন, ১৯৯০ সালে আমার বাবা ওই জায়গা কিনেছিলন।
সেখানে আমাদের ১ শতক জায়গা রয়েছে। সেই জায়গা সিরাজসহ সিরাজের ভাইয়েরা দখলে রেখেছিলেন। আমরা আমাদের জায়গাতে গিয়েছি অন্যের জায়গাতে যায়নি। এছাড়া আমরা কোন দোকান ঘর ভাঙচুরও করিনি বলে দাবি করেছেন তিনি। এ ব্যাপারে রাণীনগর থানার ওসি শাহিন আকন্দ বলেন, এ ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।