“রাজনীতির মহাকবি” মো. শিমুল পারভেজ
আমি এক রাজনীতির মহাকবির কথা বলছি- যে আছে বাঙালির অন্তরে, পরাধীন বাংলাকে স্বাধীন করে। যে ধনী – গরীব সবার জন্য, নিজে না খেয়ে গরীবদেরকে খাইয়েছিল অন্ন। আমি এক রাজনীতির মহাকবির কথা বলছি- যার কন্ঠের আওয়াজে শত্রু হয়েছিল জব্দ, যার ৭ই মার্চের ভাষণে ছিল মুক্তির শব্দ। এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। আমি এক রাজনীতির মহাকবির কথা বলছি- যার রক্তে বাংলার মাটি উর্বর হয়েছে, যার রক্তে বাংলার সবকিছু সবুজ হয়েছে। যার দেশপ্রেমের মানবিকতায় বাঙালি পেয়েছিল মুক্তির বার্তা, যার অবদানে বাঙালি পেয়েছে আজ স্বাধীনতা। আমি এক রাজনীতির মহাকবির কথা বলছি- যে দিয়েছে স্বাধীন নীড় লাল সবুজ পতাকা, যে স্বার্থকে ধ্বংসকারী নিত্য বিভীষিকা। যে দেখেছিল বাংলাকে নিয়ে বুক ভরা স্বপ্ন, যে বাংলাকে করেছিল মুক্ত শত্রুকে করে নিশ্চিহ্ন। আমি এক রাজনীতির মহাকবির কথা বলছি- যে দেখেছিল সুখের সমাজ গড়ার আশা, যার ছিল ধনী-গরীব সবার জন্য সমান ভালোবাসা। যে পেত জনগণেরর দুঃখে সমান ব্যথা, যে ছিল ন্যায়বিচারের প্রতীক জনগণের নেতা। আমি এক রাজনীতির মহাকবির কথা বলছি- যে ছিল বাংলার গৌরব বাঙালির গর্ব, যার জন্য পেয়েছি আমরা বাংলা নামক স্বর্গ। যে ছিল পৃথিবীর পুষ্পকাননে প্রস্ফুটিত ফুল, যাকে ঘাতকেরা হত্যা করে করেছিল চরম ভুল। আমি সেই রাজনীতির মহাকবির কথা বলছি- যিনি বাঙালির শ্রেষ্ঠ নেতা পেয়েছে সবার ওপরে স্থান, তিনিই হলেন রাজনীতির মহাকবি শেখ মুজিবুর রহমান। যতদিন উঠবে সূর্য এই পৃথিবীতে, ততদিন সবার হৃদয়ে থাকবে তুমি অসীম ভালোবাসাতে।