রাজধানীতে আসবাবপত্র বিক্রি করে বাড়িভাড়া দিচ্ছে অনেকে

এম এম ছাদ্দাম হোসেন, ঢাকা প্রতিনিধিঃ

করোনাভাইরাস শুধু সংক্রমণই ঘটাচ্ছে না, আমূল পাল্টে দিচ্ছে মানুষের জীবন। যত দিন যাচ্ছে, অভাব বাড়ছে ততটাই। নিম্নবিত্ত মানুষ পড়েছে সবচেয়ে বড় গ্যাঁড়াকলে। ছোটখাটো চাকরি করলে সেটা চলে গেছে, ব্যবসা থাকলে সেটাও বন্ধ। শহর ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে চলে যাবেন, কিন্তু বকেয়া বাড়িভাড়া ও মুদি দোকানের বিল পরিশোধ করার তাগাদা। অবশেষে অনন্যোপায় হয়ে ঘরের আসবাপত্র বিক্রি করে তবেই বকেয়া পরিশোধ করছেন অনেকে।

ভাড়াটিয়া পরিষদের প্রকাশ করা হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত প্রায় অর্ধ লাখ মানুষ ঢাকা ছেড়ে চলে গেছে বাড়িভাড়া জোগাড় করতে না পেরে। তিন মাস বাসায় না থেকেও পুরো ভাড়া গুনতে হয়েছে। আবার অনেক পরিবারই আগের ব্যয়বহুল বাসাটা ছেড়ে দিয়ে উঠেছেন সস্তা বাসায়। যারা ২৫-৩০ হাজার টাকার বাসায় ভাড়া থাকতেন তারা নেমে এসেছেন ৮-১০ হাজার টাকার বাসায়। রাজধানীর বস্তিবাসীদের অবস্থা আরো শোচনীয়। ভাড়া না দিতে পারায় তাদের অনেকে মারধরের শিকার হয়েছেন, এমন অভিযোগও পাওয়া গেছে।

রাজধানীর আজিমপুরের বাসিন্দা ইকরাম হোসাইন জানান, করোনার কারণে উপার্জন নেই আজ তিন মাস। দুই মাসের বাড়িভাড়া জমেছে, দোকানের বাকির খাতায়ও জমেছে অনেক টাকা। এখন পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। কিন্তু বকেয়া তো পরিশোধ করতেই হবে। তাই নামমাত্র মূল্যে খাট ও টেবিল-চেয়ারগুলো বিক্রি করে দিয়েছি।

ভাড়াটিয়া পরিষদের সভাপতি সুলতান বাহার বলেন, করোনার এই ক্রান্তিকালে মানুষের সঙ্কট নিরসনে সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু আমরা বারবার আবেদন করার পরও বাড়িভাড়া মওকুফ কিংবা কমানোর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এটা খুবই দুঃখজনক। আমরা এ ব্যাপারে সরকারের কাছে বিনীত আবেদন জানাই।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *