ছাট ভাইয়ের সার্টিফিকেট নিয়ে বড় ভাই বিভিন্ন চাকরিতে যোগদানের অভিযোগে শিক্ষা কর্মকর্তা ছোট ভাই বাদী হয়ে যশোরের আদালতে মামলা করেছেন। জালিয়াতির অভিযোগে বড় ভাই সামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে সোমবার আদালতে এ মামলা করেছেন ছোট ভাই আসাদুজ্জামান। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলাম অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্যে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) আদেশ দিয়েছেন। বাদী সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে ঝিনাইদহের মহেশপুরে কর্মরত। আসাদুজ্জামান যশোর শহরের বকচর হুশতলার আব্দুর রশিদের ছেলে। তার অভিযোগ, বড়ভাই সামসুজ্জামানের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি। অপরদিকে তার শিক্ষাগত যোগ্যতা এমএসসি। বড়ভাই সামসুজ্জামান জালিয়াতির মাধ্যমে তার এইচএসসি, বিএসসি ও এমএসসি পরীক্ষার শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট ব্যবহার করে এবং নিজেকে আসাদুজ্জামান পরিচয়ে জুলফার বাংলাদেশ লিমিটেডে টেরিটরি ম্যানেজার পদে চাকরি নেন। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তিনি চাকরিতে যোগদান করেন। এর আগে ২০১৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৮ সালের ৬ জুন পর্যন্ত সামসুজ্জামান একইভাবে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড যশোর ডিপোর অধীন ঝিনাইদহের মহেশপুর-২ মার্কেটে সিনিয়র ফিল্ড অফিসার পদে চাকরি করেন। শুধু তাই না, আসাদুজ্জামানের নাগরিক সনদপত্র ও জাতীয় পরিচয়পত্র জাল করে নিজেকে মো. আসাদুজ্জামান পরিচয়ে ডাচবাংলা ব্যাংক যশোর শাখায় হিসাব নম্বর খোলেন সামসুজ্জামান। এই হিসাব নম্বরের মাধ্যমে তিনি ব্যাংক থেকে বেতনের টাকা উত্তোলন করতেন। বিষয়টি জানতে পেরে ২০১৮ সালের ২৬ জুন আসাদুজ্জামান লিখিতভাবে অভিযোগ করলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ওই হিসাব নম্বর বন্ধ করে দেয়। অপরদিকে গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডে কর্মরত থাকাকালীন আসাদুজ্জামান পরিচয়দানকারী সামসুজ্জামান ওই কোম্পানির টাকা আত্মসাৎ করেন। এজন্যে গত ২ অক্টোবর গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেডের কর্মকর্তারা বকচরের বাড়িতে গিয়ে তাকে খোঁজাখুঁজি করেন। তখন আসাদুজ্জামান তার পরিচয় দিলে বড়ভাই সামসুজ্জামানের সকল জালিয়াতি ফাঁস হয়ে যায়। এর প্রেক্ষিতে গত ৩০ অক্টোবর বকচরের বাড়িতে সামসুজ্জামানকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আসাদুজ্জামানের কাছে তার অপরাধের কথা স্বীকার করেন বড় ভাই সামসুজ্জামান।