যশোরের মনিরামপুরে কৃষকের জমি দখল করে পাকা সড়ক নির্মাণ
যশোরের মনিরামপুরে কৃষকের তিন শতক জমি দখল করে পাকা সড়ক নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, সড়কের জন্য নির্ধারিত সরকারি জমি থাকলেও ঠিকাদার স্থানীয় কৃষক মীর নওশের আলীর তিন শতক জমি দখলের পর পাকা সড়ক নির্মাণকাজ শুরু করেছেন। কাজটি তদারকি করছেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। কৃষক মীর নওশের আলী তার জমি ফেরত পেতে জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তবে এখনও প্রতিকার মেলেনি। বরং অভিযোগ দেওয়ায় জমির মালিককে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন ঠিকাদার। সংশ্নিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চলতি অর্থবছরে সরকার খুলনা উন্নয়ন প্রকল্পের অধীন মনিরামপুর উপজেলার রোহিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে রোহিতা বাজার পর্যন্ত মোট দুই কিলোমিটার সড়ক পাকাকরণের জন্য এক কোটি ৯৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) থেকে দরপত্র আহ্বান করা হয়। কাজটি পান ঝিনাইদহের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইমন এন্টারপ্রাইজের মালিক আলতাফ হোসেন। গত মার্চে ঠিকাদারকে ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী সড়কের কাজ শুরু করেছেন ঠিকাদার। কিন্তু রোহিতা গ্রামের কৃষক মীর নওশের আলীর অভিযোগ, সড়কের জন্য নির্ধারিত সরকারি জমি বাদ দিয়ে তার পুকুরপাড়ের তিন শতক জমি দখলের পর সড়ক নির্মাণ শুরু করেছেন ঠিকাদার। এব্যাপারে জানার জন্য মেসার্স ইমন এন্টারপ্রইজের মালিক আলতাফ হোসেনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও ফোন ধরেননি তিনি। উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর অফিস থেকে জানা যায়, কাজটি ইমন এন্টারপ্রাইজের নামে থাকলেও তা বাস্তবায়ন করছেন মনিরামপুরের সিদ্দিকুর রহমানসহ কয়েকজন ঠিকাদার। ইমন এন্টারপ্রাইজের কাছ থেকে কাজটি নেন তারা। রোহিতা ইউপি চেয়ারম্যান আবু আনসার সরদার জানান, সড়কের জন্য নির্ধারিত জমি স্থানীয় ইউনুচ আলী নামে এক ব্যক্তির দখলে রয়েছে।
এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, জমি নিয়ে স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা হলে সড়কের স্থান পরিবর্তন করা সম্ভব।
ইউএনও সৈয়দ জাকির হোসেন জানান, বিষয়টি তদন্ত করতে উপজেলা প্রকৌশলীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।