মামলার বিবরণে জানা গেছে, খুলনার মলিকতলা খাদ্যগুদাম থেকে সরকারি চাল ট্রাকে বোঝাই করে গত ৩ এপ্রিল রাতে যশোরের মনিরামপুর খাদ্যগুদামে নেওয়া হয়। ওই রাতেই মনিরামপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তপন কুমার সিংহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার বিজয়রামপুরের ভাই ভাই রাইস মিলে অভিযান চালিয়ে ৫৪৯ বস্তা সরকারি চাল উদ্ধার করে। পরে জানা যায়, মিল মালিক আবদুল্লাহ আল মামুন ট্রাকে করে খাদ্যগুদাম থেকে ত্রাণের চাল তাঁর চালকলে নিয়ে আসেন। ওই চালের কোনো বৈধ কাগজপত্র না থাকায় মিল মালিক আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ট্রাকচালক ফরিদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে কালোবাজারির মাধ্যমে চাল মজুতের অভিযোগে মনিরামপুর থানায় একটি মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শিকদার মতিয়ার রহমানের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আটক দুজনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আদালতে তাঁরা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তাঁরা জানান, মনিরামপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু, শহিদুল ইসলাম, জগদীশ দাস ও আব্দুল কুদ্দুসের সহযোগিতায় তাঁরা চাল বিক্রি করেন। এর মধ্যে তদন্ত কর্মকর্তা বদল হয়। সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে ডিবি পুলিশের পরিদর্শক সোমেন দাস অভিযোগপত্র দেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ওই চাল উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম কুমার চক্রবর্তী বাচ্চু বেশি মুনাফার লোভে কালোবাজারির মাধ্যমে বিক্রি করে দেন। যার মূল্য ছিল ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। প্রথমে উত্তম চক্রবর্তী ৪ লাখ টাকা নেন। পরে আরও ৮০ হাজার টাকা নিয়েছেন। এব্যাপারে মামলার চার্জশিট প্রদানকারী ডিবি কর্মকর্তা সৌমেন দাস বলেন, অভিযুক্ত ছয়জনের মধ্যে পাঁচজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁরা সবাই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। শুধুমাত্র উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান উত্তম চক্রবর্তী বাচ্চু পলাতক রয়েছেন। তাঁকে ধরতে চেষ্টা চলছে।