ময়মনসিংহ বিভাগে মেডিক্যালে হৃদরোগীদের চিকিৎসায় কার্ডিয়াক ক্যাথল্যা চালু হল। সরকারি চিকিৎসাসেবায় বহু বছরের প্রত্যাশা অবশেষে পূরণ হলো ময়মনসিংহবাসীর।
হৃদরোগ নির্ণয়ে এতো দিন রোগীদের বাধ্য হয়ে ঢাকা-মুখী হতে হতো। অনেক রোগীদের জন্যই তা ছিল কষ্টকর এবং অনেক ক্ষেত্রে অসম্ভব বিষয়।
সেই সমস্যার অবশেষে সমাধান হয়েছে। ময়মনসিংহ বিভাগে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এখন চালু হয়েছে কার্ডিয়াক ক্যাথল্যাব। এ ল্যাবেই এখন এনজিওগ্রাম সুবিধাসহ প্রয়োজনে হার্টে রিং পরানোর সুযোগও থাকছে।
বৃহত্তর ময়মনসিংহর হৃদরোগীর জন্য এ এক বিরাট সুসংবাদ। এ ল্যাবে মোট ৬ জন হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা দেওয়া হয়। প্রথম দিনেই ২ জন রোগীকে পরানো হয় রিং। কার্ডিয়াক ক্যাথল্যাবটি চালুর বিষয়ে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন সাবেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাছির উদ্দিন আহমেদ।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে এ ক্যাথল্যাবটির অবকাঠামো স্থাপন করা হয় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সম্প্রতি কর্তৃপক্ষ এখানে চিকিৎসাসুবিধা চালুর উদ্যোগ নিলে ক্যাথল্যাবটিতে শুরু হয় রোগীদের চিকিৎসাসেবা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, এ ক্যাথল্যাবে হৃদরোগীর রক্তনালীর ব্লক নির্ণয় সম্ভব হবে। সম্ভব হবে রিং পরানো। এছাড়া পেসমেকার লাগানো, শিশুদের জন্মগত হৃদরোগ নির্ণয় ও চিকিৎসাসহ হৃদরোগ সংক্রান্ত অনেক রোগেরই চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হবে। চিকিৎসকরা আশা করছেন খুব দ্রুতই এখানে একটি দক্ষ টিম গড়ে উঠবে।
এতে আরও বেশি রোগীকে স্বাচ্ছন্দে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হবে। বর্তমানে সপ্তাহে অথবা ১০ দিনে একবার এখানে রোগীদের পরীক্ষা হবে। এখানে স্পেশালাইজড বেড আছে ৮টি। তাই একবারে ৮ জনকে এখানে সেবা দেয়া সম্ভব হবে।
সব মিলিয়ে এখানে ৫০ জনের মতো চিকিৎসক দল আছেন। প্রথম দিনে ঢাকা থেকে এখানে ৩ জন অভিজ্ঞ চিকিৎসক এসেছিলেন। ক্যাথল্যাবটির সার্বিক দায়িত্বে আছেন ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. গণপতি আদিত্য। ডা. গণপতি আদিত্য বলেন সকলের আন্তরিক সহায়তায় ল্যাবটি চালু হয়েছে। তিনি এ জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।