ময়মনসিংহে পুলিশ নিয়োগ বানিজ্য কারায় ৩ প্রতারক গ্রেফতার।

ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ পুলিশ নিয়োগ বানিজ্য করায় তিন প্রতারককে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। তাদেরকে আজ মঙ্গলবার আদালতে প্রেরণ করা হয়। ময়মনসিংহে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল নিয়োগে সাধারণ প্রার্থী যেন প্রতারণা, হয়রানি, ভুয়া প্রার্থী ও নিয়োগ বানিজ্যের মাধ্যমে দুর্নীতি না করতে পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখায়,এর অংশ হিসেবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ৩ প্রতারককে গ্রেফতার করে।

এ বিষয়ে অফিসার ইনচার্জ সফিকুল ইসলাম জানান, পুলিশ সুপার মোহাঃ আহমার উজ্জামান পিপিএম সেবা ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখা সকল প্রকার অনিয়ম,অপরাধ, প্রতারণা ও জনসাধারণের সার্বিক নিরাপত্তায় কাজ করে যাচ্ছে। তারই প্রেক্ষিতে সোমবার, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৩ প্রতারককে গ্রেফতার করে। তারা হল- ১- মোঃ ছামিউল আলম (৬৬), পিতা- মৃত বজলুর রহমান, পো- বেলতলী বাজার, থানা- মেলান্দহ, জেলা- ময়মনসিংহ,এই প্রতারক অতিরিক্ত সচিব ও ডিআইজি ভুয়া পরিচয়ে তিন জনকে পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ দিতে পুলিশ সুপারের কাছে মোবাইলে সুপারিশ করে।

কুড়িপাড়া গ্রামের মৃত হানিফ উদ্দিন এর পুত্র জালাল উদ্দীন (৭৫ )এই প্রতারক কনস্টেবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর থেকে অনলাইনে আবেদন কারীদের চাকুরী পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাসে এলাকার রফিকুল ইসলাম ও আঃ কাদির কে চাকুরী পাইয়ে দিতে অগ্রিম ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় কামরুল হাসান নামে পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে চাকুরী দিতে পারবে বলে পাঁচজন প্রার্থী সংগ্রহ করে এবং তাদের ঢাকা উত্তরায় নিয়ে ডাক্তারি পরীক্ষাও সম্পন্ন করে।

ঐ ব্যক্তি প্রার্থীদের সাথে ডি আই জি পরিচয়ে কথা বলে। মুক্তাগাছার ছোরহাফ আলীর পুত্র মারুফ মিয়া ( ১৯ ) এই প্রতারক ভূয়া প্রবেশপত্র তৈরী করে নিয়োগ বোর্ডে গেলে প্রবেশপত্র ভূয়া হিসেবে ধরা পরে,তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভূয়া প্রবেশপত্র তৈরীকারী হামিদুল ইসলামের ব্যবহৃত কম্পিউটার জব্দ করা হয়।ৎ

তিনি আরো জানান, প্রতারক চক্রের অন্যান্যদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। এসকল প্রতারকের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা হয়েছে এবং মঙ্গলবার তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *