ময়মনসিংহে চাঞ্চল্যকর অপহৃত স্কুল ছাত্রী উদ্ধার


ময়মনসিংহে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন এক অভিযান চালিয়ে চাঞ্চল্যকর অপহৃত স্কুল ছাত্রী মার্জিয়া আক্তার মৌ (১৬) কে উদ্ধার করেছে। নগরীর ঢাকা বাইপাস এলাকা থেকে মঙ্গলবার তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। জন্মদিন উপলক্ষে কেক ও মিষ্টির সাথে চেতনানাশক মিশিয়ে তার পরিবারের লোকদের খাইয়ে মৌকে অপহরণ করা হয় বলে পিবিআই জানায়। মামলার এক সপ্তাহের মধ্যে অপহৃতাকে উদ্ধার করা হয়। পিবিআই আরো জানায়, ত্রিশালের ধলা এলাকার মার্জিয়া আক্তার মৌ ধলা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। সে স্কুলে যাওয়া আসার পথে স্থানীয় আজহারুল ইসলাম তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে প্রেম নিবেদন করত। সে প্রেম প্রস্তাব অস্বীকার করলে আজহারুল তার মুখে এসিড নিক্ষেপে চেহারা বিকৃত করে দেয়ার হুমকি দিতে থাকে।
পার্শ্ববর্তী জিমি খাতুনের জন্মদিন উপলক্ষে কেক ও মিষ্টির সাথে চেতনানাশক মিশিয়ে মৌ এর পরিবারের লোকদের খাইয়ে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার তার মা ফাতেমা খাতুন বাদী হয়ে ময়মনসিংহের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস বলেন, আদালত অপহৃত স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধারের নির্দেশ দিলে মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম মামলাটি তদন্ত করেন। তিনি আরো বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তা তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অপহৃত মৌ এর অবস্থান সনাক্ত করে। পরে মঙ্গলবার তাকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশ সুপার বলেন, এটি একটি চাঞ্চল্যকর স্কুল ছাত্রী অপহরণের ঘটনা।
আদালতের নির্দেশে মামলাটির তদন্তভার পিবিআইকে প্রদান করা হলে পিবিআই মৌ কে উদ্ধারের লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। এক পর্যায়ে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তাকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মৌ এর বরাত দিয়ে তিনি আরো জানান, প্রায় ৩ বছর ধরে আজহারুলেরব সাথে মৌ এর প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। বিষয়টি জানা-জানি হলে মৌ এর পরিবার মেনে না নেয়ায় তারা পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে বাসা ভাড়ায় বসবাস করতে থাকে।