ময়মনসিংহের নান্দাইলে অবসরপ্রাপ্ত এক শিক্ষকের অভিনব প্রতিবাদ বিষয় হেফাজতের কার্যক্রম

অবসরপ্রাপ্ত

ময়মনসিংহের নান্দাইলে অবসরপ্রাপ্ত এক শিক্ষকের অভিনব প্রতিবাদ বিষয় হেফাজতের কার্যক্রম। ময়মনসিংহের নান্দাইল সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আফেন্দি নুরুল ইসলাম। সকল সময়েই তিনি ছিলেন মাদক, জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছাড়াও সমাজের সকল অন্যায় কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠ। কাউকে সাথে নিয়ে তিনি প্রতিবাদ করেন না। নিজে একাকী চাঁটাইয়ের মধ্যে আঁঠা দিয়ে প্রতিবাদী লেখা সাঁটিয়ে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে ঘুরে বেড়ান শহরের অলিগলি ছাড়াও জনাসমাগম স্থানে।

আজ বৃহস্পতিবার তাঁকে আবারও দেখা গেছে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের নান্দাইল চন্ডীপাশা এলাকায় নতুন বাজারে। এবার তাঁর ১৩৫তম প্রতিবাদ বিষয় হচ্ছে হেফাজত ইসলামের চলমান কর্মকাণ্ড। স্থানীয় সূত্র জানায়, নান্দাইলের আপামর মানুষের কাছে তিনি আফেন্দি-স্যার হিসেবে পরিচিত। যারা তাঁর কাছে পড়েছেন বা পড়েন নাই সকলেই স্যার, বলে সম্বোধন করেন। বেশ কয়েক বছর ধরেই অন্যায়-অনাচারের বিরুদ্ধে অভিনব প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন।

বয়সের ভারে ন্যুব্জ হলেও থেমে নেই তাঁর প্রতিবাদ। বিশেষ করে সরকারের ভালো কাজের প্রশংসা ও খারাপ কাজের সমালোচনা ছাড়াও বিভিন্ন সময় ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ধরনের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে একাই সড়কে নেমে জনসাধরনের দৃষ্টি-আকর্ষণ করেন। হেফাজত ইসলামের বর্তমান সময়ের আলোচিত কর্মকাণ্ড নিয়ে তিনি বলছেন,হেফাজত একটা হিংস্র ও মূর্খ রাজনৈতিক দল। ওরা একাত্তরের স্বভাব বদলাতে পারেনি। ওরা নেতাকর্মীরা কি বাংলাদেশের নাগরিক? ওরা তো বাংলাদেশের পতাকা পুড়ে ও জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা করে। ওরা তো ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারকীয় তাণ্ডবের আদলে এখানে ওখানে সর্বকালেই ধ্বংসলীলা চালনায় ব্যস্ত। মুক্তিযুদ্ধে হেফাজত ৩০ লাখ বাঙালি হত্যায় যোগান দিয়েছিল।

হেফাজতীরা এখনও বাংলাদেশকে পাকিস্থানই মনে করে। ভারত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সার্বিকভাবে সাহায্য করেছিল। তাই ভারত ওদের যন্ত্রণা। মুজিববর্ষ ও বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী ওদের অন্তর জ্বালা। তাই ওরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারকীয় তাণ্ডবে বাংলাদেশেরে সুবর্ণজয়ন্তী পালন করেছে। ওরা দেখিয়ে দিয়েছে ওদের কত নারকীয় শক্তি। এই রকম অনেক কথা লিখে প্রতিবাদে নামেন। এই অভিনব প্রতিবাদের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেছেন নান্দাইল সমূর্ত জাহান মহিলা কলেজের শিক্ষক অরবিন্দ পাল অখিল। তিনি বলেন, আফেন্দি স্যার,সকলের মনের কথাটিই প্রকাশ করে প্রতিবাদে নেমেছেন। সকলের উচিত প্রতিবাদ করা। বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *