ময়মনসিংহের ধোবাউড়া সড়ক দুঘটনা দুই বন্ধু নিহত হয়েছে। তারা এক সঙ্গে কাটাত দিনের বেশিরভাগ সময়। ব্যবসাও করতেন একসঙ্গে।
সড়ক দুর্ঘটনায় পৃথিবী থেকে বিদায়ও নিতে হলো একসঙ্গেই। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার বাঘবেড় ইউনিয়নের মেকিয়ারকান্দা বাজারের কাছে একটি ট্রাকের সঙ্গে তাদের মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে এ দুই-বন্ধু নিহত হয়।
নিহত দু'জন হলেন- উপজেলার খরিয়া গ্রামের সাবির উদ্দিনের ছেলে জাহিদ হাসান রাসেল এবং তার বন্ধু উত্তর বাঘবেড় গ্রামের কুতুব উদ্দিনে ছেলে শহীদুল কায়সার রনি।
রনি উপজেলা তাঁতী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। দুর্ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন ট্রাকের চালক শাহাব উদ্দিন ও হেলপার মাফুজ আলম রুবেলকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। তাদের বাড়ি কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম থেকে রডবোঝাই ট্রাকটি যাচ্ছিল ধোবাউড়া বাজারের দিকে। অপরদিকে তিনজন নিয়ে মোটরসাইকেল আরোহীরা মেকিয়ারকান্দা এলাকার দিকে যাচ্ছিলেন। পথে একটি হ্যান্ড ট্রলিকে ওভারটেক করে সামনে যেতেই রডবাহী ট্রাকটির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় মোটরসাইকেলটির।
এতে ট্রাকটি পাশের খাদে পড়ে যায়। ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে মোটরসাইকেলটি। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় জাহিদ হাসান রাসেলের। গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শহীদুল কায়সার রনিকে হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তাদের সঙ্গে থাকা ভ্যাকু ড্রাইভার জুয়েল মিয়াকে আহত অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রনির চাচাতো ভাই দিনার খান বলেন, রাসেল ও রনি দু'জন ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। তারা ভ্যাকু দিয়ে মাটি কাটা ও বালুর ব্যবসা করতেন। ব্যবসায়িক কাজে প্রতিদিনের মতো শুক্রবার সকালেও বাড়ি থেকে বের হন দু'জন।
শুক্রবার দুপুরে নিহতদের লাশ বাড়িতে নেওয়া হলে এলাকায় শোকের মাতক শুরু হয়। স্বজনদের আহাজারিতে বাতাস ভারি হয়ে উঠে। স্বামী হারিয়ে রনির স্ত্রী উম্মে সালমা বারবার মুর্ছা যাচ্ছিলেন। ধোবাউড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. চাঁদ মিয়া বলেন, ট্রাকের চালক ও হেলপারকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নিহতদের-সংবাদ পেয়ে নিহতদের আত্বীয়-স্বজন ও গ্রামবাসিরা ছুটে আসলে এলাকায় এক শোকের মাতম শুরু হয়।