বাগেরহাটের মোল্লাহাটে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে বাসা বাড়িতেই গোপনে রমরমা কোচিং বাণিজ্য করে আসছেন মাদারতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শেখ লিপু।
উপজেলার গাওলা ইউনিয়নের নাশুখালী নামক স্থানে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ১শ জন শিক্ষার্থীকে নিয়ে কোচিং করাচ্ছেন শেখ লিপু। শিক্ষক শেখ লিপু শেখ এর নের্তৃত্বে আরও ৫ জন একসঙ্গে কোচিং পরিচালনা করে আসছেন।
করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমন প্রতিরোধে সরকার দেশের সকল স্কুল,কলেজ, মাদ্রাসা ও কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশনা জারি করেছে। কিন্তু গোপনে তিনি সরকারি স্কুল শিক্ষক হয়েও করোনা মহামারি প্রকোপের মধ্যেও কমলমতি শিশুদের নিয়ে বাসায় একটি কোচিং সেন্টার গড়ে তোলেন।
প্রতিদিন প্রায় ১০০ জন শিক্ষার্থীদের পাঠদান করান শেখ লিপু সহ আর ৫ জন । সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় স্বাস্থ্যবিধীর কোনো বালাই নেই। শিক্ষক হিসাবে দায়িত্বে ছিলেন তার নিজের ছিলোনা মাস্ক এবং শিক্ষার্থীদের কারো কারো মাস্ক ছিলো কারো ছিলোনা।
এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক অপূর্ব শাখারী সাংবাদিকদের বলেন প্রশাসনের কোন পদক্ষেপ না থাকায় আমরা সহ অনেকেই কোচিং চালু করেছে।
তবে সরকারী নিয়ম না মেনে আমাদের কোচিং চালু রাখা ভুল হয়েছে। এসময়ে বাড়ির মালিকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন লিপু স্যারকে বাড়ি ভাড়া দিয়েছি এবং তিনি ভোরে এসে পড়ান আবার চলে জান।
এ বিষয়ে মোল্লাহাট প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামাল হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে চায়লে তিনি বার বার ফোনটি কেটে দেন।
সরকারি স্কুলের শিক্ষক হয়েও লিপু শেখ যদি এসব আইনবিরোধী কার্যক্রম করেন তাহলে স্থানীয়দের দাবী তাকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। কর্তৃপক্ষের বিষয়টি নজরে এনে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করলে একদিকে সরকারি আদেশ যথাযথ বাস্তবায়ন হবে অন্য দিকে অন্য সকলেও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে ।