বাগেরহাটের মোল্লাহাটের বর্তমান সময়ে অপরাধ প্রবনতায় চরমভাবে বিতর্কিত চুনখোলা ইউনিয়নের সিংগাতি গ্রামে মধ্য যুগীয় কায়দায় একজন নারীকে প্রকাশ্য জনসম্মুখে নির্যাতনকারি ইউপি মেম্বর কাওছার ছৌধুরী (৬০) কে অবশেষে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরের পর মোল্লাহাট থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। তবে, তার সহযোগীরা ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছে। শুক্রবার বেলা ৩ টা পর্যন্তÍ এ ঘটনায় মামলা হয়নি। ভিকটিম প্রবাসীর স্ত্রী তার উপর নির্যাতনের ঘটনার বিচার দাবী করলেও সে থানায় অভিযোগ দেয়নি। সে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র অবস্থান নিয়ে আছে। প্রসঙ্গতঃ ওই নারীকে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে পিটিয়ে এবং প্রকাশ্য জনসম্মুখে জুতার মালা পরিয়ে মধ্যযুগীয়ভাবে নির্যাতন করেছে এলাকার ইউপি সদস্য কাওছার চৌধুরী ও মাসুম চৌধুরীসহ তার সহযোগীরা। এর আগে প্রবাসি স্বামীর দেয়া ওই নারীর গলায় থাকা এক ভরি ওজনের একটি স্বর্নের চেইন, ৮ আনা ওজনের কানের দুল ও ৯৫ হাজার টাকা দামের একটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায় নির্যাতনকারীরা। ওই নারীকে এমন নির্যাতনের দৃশ্য মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয়। যা নিয়ে মোল্লাহাট উপজেলাসহ গোটা বাগেরহাট জেলায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এদিকে লোক লজ্জা বোধ ও নিরাপত্তার অভাবজনিত কারনে ওই নারী এলাকা থেকে অন্যত্র গিয়ে আশ্রয় নেয়। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর উপজেলা প্রশাসন থেকে এ বিষয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়। গত সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত নির্যাতনের এ ঘটনার পর শুক্রবার পর্যন্ত মামলা না হওয়ায় ইতোমধ্যে নানা সমালোচনা শুরু হয়েছে। অপরদিকে, ওই এলাকায় খোজ নিয়ে জানা গেছে, বিষয়টি থানা পুলিশের মধ্যস্থতায় সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে নিরসন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রকাশ্য জনসম্মুখে নারী নির্যাতনের ঘটনার বিষয়ে আপডেট খবর জানার জন্য মোল্লাহাট থানার ওসি সোমন দাশের সরকারি মুঠোফোনে ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। পরে ফোনের সংযোগ পাওয়া যায়নি। পরে এ বিষয়ে বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, ইউপি সদস্য কাওছার চৌধুরি কে শুক্রবার বেলা ২ টার দিকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং নির্যাতিতা ওই নারীর পক্ষ থেকে মামলার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। জড়িত বাকীদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।