মুকসুদপুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ৪ পরিবারের ওপর নির্যাতন ও জোরপূর্বক জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ


গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ৪ পরিবারের ওপর নির্যাতন ও জোরপূর্বক জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে একই উপজেলার গোহালা ইউনিয়নের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগি ৪ পরিবার প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক, মুকসুদপুর উপজেলা প্রশাসন ও থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। প্রেরিত লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, মুকসুদপুর উপজেলার গোহালা ইউনিয়নের গোহালা গ্রামের দাগ নং ৪৮৪, ৪৮৫, ৪৮৬, ৪৮৭, ৪৮৮, ৫২৭, ৫২৮, ৫৩১ মৌজা গোহালা খতিয়ান জে ২-১৮৪, এস.এ ও আর. এস জরিপ অনুযায়ী বংশানুক্রমিকভাবে ১৯২ শতাংশ বাড়ির জায়গা হরিপদ রায়সহ ৪টি পরিবার ভোগ দখল করে আসছে।
কিন্তু গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে গোহালা ইউনিয়নের পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আবুল কালাম আজাদ হিন্দু সম্প্রদায়ের জায়গার পাশে কিছু জায়গা ক্রয় করেন। পরে আবুল কালাম আজাদ তার ক্রয়কৃত জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ না করে হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোগ দখলকৃত জায়গায় স্থাপনা নির্মা
ণের জন্য পায়তারা করলে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন বাঁধা দেয়। এসময় আবুল কালাম আজাদ ক্ষিপ্ত হয়ে তার লোকজন নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি ঘর জ্বালিয়ে দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য করবে বলে হুমকি দেয়। এমন কি হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে চাঁদাবজিসহ ৪টি মামলা দয়ের করে অহেতুক হয়রানি করছে।
এ অবস্থায় ওই ৪টি পরিবারসহ ১০টি পরিবার চরম আতংকের মধ্যে দিন যাপন করছে বলে দাবি ভুক্তভোগি পরিবারের। এমনকি তাদের ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠাতেও তারা ভয় পাচ্ছে। ভূক্তভোগি পরিবারের অশোক রায় বলেন, আমাদের এই বাড়ির জায়গা আবুল কালাম আজাদ জবর দখল করার জন্য পায়তারা করছে এবং আমাদের নামে চাঁদাবাজিসহ ৪টি হয়রানিমূলক মামলা করেছে। আমরা এর সুষ্ঠ বিচার চাই।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আবুল কালাম আজাদ তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, উক্ত দাগের মধ্যে ৪১ শতাংশ জায়গা ক্রয় সূত্রে আমার। প্রতিপক্ষ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। মুকসুদপুর থানার ওসি আবু বকর মিয়া জানান, এ ব্যাপারে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। জমি সংক্রান্ত বিষয় আদালত দেখবে। তবে আমরা চেষ্টা করবো দুই পক্ষকে ডেকে আপোষ-মিমাংসা করে দেওয়ার জন্য।