গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহেব আলী সরদারের স্ত্রী লিলি বেগম (৬৮) কে তার নিজের ওরশজাত একমাত্র পুত্র সাইফুল সরদার (৩৮) সংসারে কোন কাজকর্ম না করে সরকার প্রদত্ত তার বাবার মুক্তিযোদ্ধার ভাতার টাকা এবং সম্পত্তি লিখে দিতে গর্ভধারিনী মা ও বোনদেরকে চাপ প্রয়োগ করে এবং মাকে বিভিন্ন সময়ে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে নিরুপায় হয়ে তিনি গত ২৩ জানুয়ারি মুকসুদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ দায়েরের পর এস আই কামরুল হাসান এ ঘটনার প্রতিকার না করে উল্টো তার মাকে গিয়ে সন্তানের চাহিদা মাফিক মুক্তিযুদ্ধের ভাতা ও সম্পত্তি লিখে দিতে তার বৃদ্ধা মা লিলি বেগমকে চাপ প্রয়োগ করেন। এতে তার মা ক্ষুব্ধ হন এবং আক্ষেপ করে গণমাধ্যমকে বলেন, ন্যায়বিচার তো পেলামই না উল্টো থানায় জানিয়ে আরো বিপদ ডেকে আনলাম। আমার ছেলে হয়তোবা দারোগাকে কিছু দিয়েছে। তা না হলে সে এ ধরনের কথা বলবে কেন। আমি এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) অভিযুক্ত মুকসুদপুর থানার এস আই কামরুল হাসানকে মুঠোফোনে (...৬১৫৭ নম্বরে) গণমাধ্যমকর্মী পরিচয় দিয়ে জানতে চাইলে বিষয়টি তিনি অস্বীকার করে বলেন, আমি স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য বলে এসেছি। আপনি কি সরকার প্রদত্ত মুক্তিযুদ্ধের সম্মানী ভাতা অভিযুক্ত সাইফুল সরদারের মা-কে ভাগ করে দিতে বলতে পারেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে তদন্তকারী কর্মকর্তা চুপ থাকেন। এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা বিপিএম, পিপিএম গভীর দুঃখ প্রকাশ করে মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবু বক্কর মিয়াকে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দিকনির্দেশনা দিয়েছেন বলে আমাদের প্রতিনিধিকে মুঠোফোনে নিশ্চিত করেন।