মায়ের সম্মান দিয়ে কাছে টেনে নিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপার,প্রদান করলেন শাড়ী ও নগদ টাকা

যে কাজ রাজনৈতিক নেতাদের করার কথা, সেই কাজ এখন করতে হচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ সুপার। কারণ আজকাল গরীব অসহায় মানুষ রাজনৈতিক দলের নেতার বাড়ি বা দলীয় অফিসে গিয়ে লাভ নেই। সারাদিন রাজনৈতিক দলের নেতার বাড়ির সামনে দুই থেকে তিন ঘন্টা অপেক্ষা করে, কেউ এসে বলে এই যাও এখন নেতা বাইরে আছে বা বাইরে যাবে এখন কথা বলার সময় নাই। তাই গরীব অসহায় মানুষ রাজনৈতিক দলের নেতার কাছে যাচ্ছে না, সরাসরি চলছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপারের কাছে, বাংলাদেশ পুলিশ পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকার সামাজিক, মানবিক ও উৎসাহমূলক কার্যক্রমে ভূমিকা রেখে চলেছেন। তারই অংশ হিসেবে মানবিক পুলিশ সুপার খ্যাত জনাব, মোঃ জাহিদুল ইসলাম সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে একের পর এক গণমুখী কার্যক্রম গ্রহণ করছেন। প্রতিদিন পুলিশ সুপার চুয়াডাঙ্গার কার্যালয়ে ব্যক্তিগত বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে হাজির হন নানা শ্রেনী পেশার বিভিন্ন বয়সী মানুষ। রিজিয়া বেগম (৬০) তাদেরই একজন। তিনি কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ জানাতে পুলিশের কাছে আসেননি। দারিদ্রের কষাঘাতে জর্জরিত হয়ে তিনি একটুখানি আশা নিয়ে পুলিশ সুপার, চুয়াডাঙ্গার কাছে আসেন। ভরন পোষন দেওয়ার মত স্বামী কিংবা সন্তান তার নাই। পুলিশের মানবিকতাই তাকে পুলিশ সুপারের কার্যালয় পর্যন্ত টেনে নিয়ে এসেছে। প্রয়োজন একটি শাড়ীর। চাহিদা খুবই কম। কিন্তু এই সল্প চাহিদা পূরণের ভরসাস্থল তার অজানা। অশ্রুসিক্ত দুটি নয়নে অসহায়ের মত পুলিশ সুপারের সামনে হাজির হলে মানবিক পুলিশ সুপার জনাব মোঃ জাহিদুল ইসলাম তাকে মায়ের সম্মানে কাছে টেনে নেন। অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে শোনেন তার দুঃখের কথা। রিজিয়া বেগম তার মনের কথা পুলিশ সুপারের কাছে বলতে পারায় তার দু”চোখ দিয়ে পরিতৃপ্তির অশ্রু ঝরে পড়ে। মানবিক পুলিশ সুপার তাকে তাৎক্ষনিকভাবে একটি শাড়ী এবং ঔষধ কেনার জন্য নগদ টাকা প্রদান করেন। তিনি আরো আশ্বস্ত করেন চুয়াডাঙ্গা বাসীর যেকোন প্রয়োজনে পুলিশ সুপারের দুয়ার ২৪ ঘন্টা খোলা আছে। পুলিশ সুপার চুয়াডাঙ্গা বলেন, সমাজের সর্বস্তরের সামর্থবান মানুষ যদি অসহায় সুবিধা বঞ্চিতদের দিকে একটু সুদৃষ্টি দেয়, তাহলে আমাদের সমাজে সুবিধা বঞ্চিতদের মুখেও হাসি ফোঁটানো সম্ভব। এসময়ে তিনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাসহ সকল বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলাবাসীর সহযোগীতা কামনা করছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপার জনাব জাহিদুর ইসলাম।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *