আইয়ুব আলীর পরিবারের লােকজন প্রতিবেশী রফিকুল ইসলাম পাক্কীর ছেলে রাসেল (২৫) ও তার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে এ অভিযােগ তুলেন। এ অভিযােগে বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) দুপুরে সংবাদ সংম্মেলন করেন নিহতর ছেলে ছামিউল ইসলাম ও তার পরিবারের লােকজন। সংবাদ সম্মেলন শেষে আইয়ুব আলী হত্যার বিচারের দাবীতে এলাকাবাসী এক বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এ সময় এলাকাবাসী আইয়ুব হত্যার দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী করে বিভিন্ন স্লোগান দেন। দিন মজুর আইয়ুব আলী হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে নিহতের পরিবার জানান, ৩০ জুলাই গভীর রাতে অভিযুক্ত রাসেল মিয়া ও তার পরিবারের লোকজন আইয়ুব আলীর বাড়িতে গিয়ে নিহত আইয়ুব আলীর পরিবারকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে আইয়ুব আলীকে হত্যার হুমকি দেয়। সেই রাত থেকে আইয়ুব আলী নিখােজ হয়। পরে ১ আগস্ট তাতিহাটী পশ্চিম পাড়া আ: কাফি মিয়ার পরিত্যক্ত ডুবার পানিতে আইয়ুব আলীর লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। সংবাদ পেয়ে নিহতর পরিবারের লােকজন গিয়ে আইয়ুব আলীর লাশটি সনাক্ত করে। স্থানীয়রা পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে, ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় শ্রীবরদী থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়। ৫ আগস্ট নিহতর ছেলে ছামিউল বাদী হয়ে রাসেল মিয়াসহ ৬ জনকে আসামী করে বিজ্ঞ আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। আসামীরা প্রভাবশালী ও অর্থশালী হওয়ায় উক্ত মামলার খবর পেয়ে মামলার বাদী ও স্বাক্ষীকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। আসামীরা প্রভাবশালী হওয়ায় ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। সংবাদ
সম্মেলনে ছামিউল বলেন আমি না বুঝে থানায় অপমৃত্যুর মামলায় স্বাক্ষর করেছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রাসেল মিয়ার বড় ভাই রিপন মিয়া সাথে মােবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান, সন্দেহমূলক ও আমাদেরকে সামাজিক ভাবে হেয়পতিপন্ন করার জন্য এমন অভিযােগ করেছে। আমাদের প্রজেক্ট থেকে মাছ ধরার বিষয়ে রাসেলসহ আরাে কয়েকজন তার বাড়িতে গিয়ে মাছ না ধরার জন্য বলে আসেন। এ ঘটনার সঙ্গে আমরা কেউ জড়িত নয়। শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ মােহাম্মদ রুহুল আমিন তালুকদার বলেন, এ ঘটনায় নিহতর ছেলে বাদী হয়ে শ্রীবরদী থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেলা মর্গে পাঠানাে হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপাের্ট পেলে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।